যশোরে ছাত্রী শ্লীলতাহানিকে কেন্দ্র করে পাল্টা-পালটি মামলা- প্রতিবাদে মিছিল

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

একাত্তর নিউজ ডেস্ক :  যশোরে ছাত্রী শ্লীলতাহানিকে কেন্দ্র করে পাল্টা-পালটি মামলা হয়েেছ প্রতিবাদে মিছিল ও হয়েছে।

 

এই ঘটনার মামলার আসামিরা হচ্ছে বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের শুকুর মন্ডলের ছেলে ৯নং আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, আবু হোসেনের ছেলে বিল্লাল, আমানতের ছেলে রুবেল, আহম্মদ আলীর ছেলে আক্তার, রঘুরামপুর গ্রামের আব্দুল মান্ননের ছেলে লালু, ও আব্দুর রহমানের ছেলে রিপন।

মামলায় বলা হয়েছে, বালিয়া ভেকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইউসুফ আলীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে বালিয়া ভেকুটিয়া এলাকার লোকজন মারপিট করে। আমি খবর পেয়ে গ্রামের তছলিম মিয়ার বাড়ির সামনে উপস্থিত হলে ওই আসামিরাসহ অজ্ঞাত নামা আসামিরা আসামি শাহারুলের হুকুমে আসামি রুবেল আমাকে ধরে রাখে। দুই নং আসামি বিল্লাল খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মাথার বাম পাশে খারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে। চার, পাঁচ ও ছয় নং আসামিসহ অজ্ঞাত আসামিরা লোহার রড ও বাসের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আমাকে রক্তাত্ত জখম করে। শাহারুল আমার পকেট থেকে স্যামসং জে সেভেন মোবাইল (মূল্য ২৩ হাজার টাকা) কেড়ে নেয়। চার নং আসামি আক্তার আমার মানি ব্যাগ থেকে ৭ হাজার ৪শ টাকা কেড়ে নেয়। আমার চিৎকারে আমার বৃদ্ধ পিতা হানিফ এগিয়ে গেলে আসামি শাহারুল তাকে চড় ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। ভেকুটিয়া বিদ্যালয়ে নিয়ে শাহারুল ও প্রধান শিক্ষক আমার কাছ থেকে জোর পূর্বক সাদা কাগজে রিজাইন লেটার স্বাক্ষর করে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। আমার ছোট ভাই ফারুকসহ স্থানীয় লোকজন আমাকে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

অন্যদিকে শ্লীলতা হানির অভিযোগে একই গ্রামের তছলিম মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে মঙ্গলবার কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন বালিয়া ভেকুটিয়া শ্বসান পাড়া গ্রামের আবুল কাশেম হাওলাদরের ছেলে ইউসুফ আলী।

মামলায় বলা হয়েছে, আমার নাতনি আখিঁ খাতুন বালিয়া ভেকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। বালিয়া ভেকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গনিতের শিক্ষক ইউসুফ আলী আমার নাতনিকে পরীক্ষার আগে গোপনে প্রশ্ন দেবে, পরীক্ষায় নাম্বার বাড়িয়ে দেবে, অংক শিখিয়ে দেবে বলে প্রলোভন দেখাতো। আমার নাতনি তার কথায় রাজি না হওয়ায় গত ২৬ জুন আসমি ইউসুফ অংক দাগায়ে দিতে সকালে আমাদের বাড়ি আসে। আমার নাতনি অংক দাগায়ে নিবে বললে ইউসুফ চলে যায়। ২ জুলাই সকালে ইংরেজি পরীক্ষা দেয়ার জন্য আমার নাতনি স্কুলে যায়। পরীক্ষা দেয়ার সময় আমার নাতনি বাথরুমে শেষে পশ্চিম পাশের ক্লাস রুমে যাওয়ার সময় ইউসুফ আমার নাতনিকে ডেকে হাতে ধরে টেনে সিড়ির নীচে নিয়ে তার শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়।

বৃহস্পতিবার আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান কে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এলাকাবাসী শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে।

Please follow and like us: