রাসেল হোসেন, যাশোর অফিস :
যশোর সদরের বসুন্দিয়ায় আতংকিত পেশাজীবি মানুষ। ৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র একই সাথে তিন-চারটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয়ে পেশাজীবি ও ব্যাবসায়ীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। কলুষিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করছে সাংবাদিকতার মহান পেশাকে।
গত সোমবার বসুন্দিয়া মোড়ের সম্মানীয় কয়েকজন গ্রাম ডাক্তারকে নীজ চিকিৎসালয়ে অবরুদ্ধ করে অহেতুক প্রশ্নের ফাঁদে ফেলে সংবাদ প্রকাশ ও প্রশাসনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ হাজার ও ৫ হাজার করে টাকা নিয়ে হারিয়ে যায় চক্রটি।
জানাযায় ‘এশিয়ান টিভি’র তরিকুল ইসলাম, জাগরণী টিভি’র শরিফুল ইসলাম, জার্নালিস্ট এইচ আর শামিম সহ মোট ৬ জন ৩টি মোটরসাইকেল যোগে আকস্মিক এতৎপরতা চালায়।
ভূক্তভোগী একজন পল্লী চিকিৎসক জানান, ৪জন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার চিকিৎসালয়ে প্রবেশ করেই আমার দিকে ক্যামেরা রেখে বলে আপনাকে ভিডিও করা হচ্ছে, আপনি মোবাইল ধরবেন না, বাইরের কাওকে ডাকবেন না, চেয়ার থেকে উঠবেন না। আমরা ‘এশিয়ান টিভি’, আর টিভি, এসএ টিভি ও জাগরণী টিভি’র সাংবাদিক। আপনার নামে অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এরপর একই সাথে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করে, আমাকে জিম্মি করে টাকা দাবি করে বলেন, টাকা না দিলে একযোগে টিভিতে সংবাদ প্রকাশ করব, তাতে আপনাকে দ্রতই পুলিশ গ্রেফতার করবে। আমাদের হাতে সময় বেশি নাই আমরা সব ডাক্তারের কাছে যাব। আমি ভয় পেয়ে যায় এবং টাকা দিয়ে দিই। তখন সাংবাদিকরা দ্রæত চলে যায়। এছাড়া বসুন্দিয়া মোড়ের আরও ২জন ডাক্তার একই রকম ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে জানান।
সাংবাদিক পরিচয়ের এই চক্রটি সম্প্রতি বাঘারপাড়া উপজেলার কয়েকটি এলাকায় অনরূপ ঘটনা ঘটিয়েছে।
গত এক বছর পূর্বে বসুন্দিয়া বাজারের একজন সুপারী ব্যাবসায়ীর নিকট থেকে এই চক্রটি জোর পূর্বক মোটা অংকের টাকা আদায় করেছিল। সেই ঘটনায় বসুন্দিয়ার ব্যাবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং সাংবাদিকদের প্রতি বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হয়। বসুন্দিয়ার গ্রাম ডাক্তাররা আরও জানান এর পর থেকে বসুন্দিয়াতে হলুদ সাংবাদিকদের প্রতিরোধ করা হবে।
বাঘারপাড়া, বসুন্দিয়া ও রুপদিয়া এলাকার সচেতন মহল এসব চাদাবাজ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।