একাত্তর নিউজ অফিস, যশোর :
যশোরে ৯ বছরের এক বালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সে ভেকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্রী। সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মামুন (২৩) নামে এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে দফায় দফায় ধর্ষন করে। মামুন রঘুরামপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। এঘটনায় ছাত্রীর মা কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় তিনি বলেছেন, আমার মেয়ে ভেকুটিয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া আসার পথে আসামি মামুন আমার মেয়েকে উত্তক্ত করতো। আমার বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় শরিফুল ইসলামের ছেলে সাগর (১০), মৃত অলিয়ার রহমানের ছেলে রুহুল আমিন (১০)সহ অন্যান্য ছেলে মেয়েদের সাথে খেলাধুলা করার সময় আসামি মামুন আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে ৫০ গজ দুরে মুক্তেশ্বরী নদীর পাড়ে বাঁশ বাগানে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। পাহারায় রাখে সাগর ও রুহুল আমিনকে। এভাবে বিগত দুই মাস যাবৎ বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে কখনো বাঁ বাগান কখনো পাশের ধনঞ্চে বাগানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কাউকে না বলার জন্য মেয়েকে ভয়ভীতি দেখায়। গত ২৯ আগস্ট আমার মেয়েকে মুক্তেশ্বরী নদীর পাড়ে মৃত আব্দুল গফুরের বাঁশ বাগানের ভিতর নিয়ে ধর্ষণ করে। টাকার লোভ দেখিয়ে বাঁশ বাগান থেকে ১০ গজ দুরে পাহারা দেয়ার জন্য দাঁড় করিয়ে রাখে সাগর ও রুহুল আমিনকে। তাদেরকে আসামি মামুন বলে কেউ আসলে আমাকে জানাবি। পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর বেলা ৩ টার দিকে মেয়ে আমাকে ঘটনা জানালে আমি আমার স্বামীকে এবিষয়ে অবহিত করে সোমবার কোতয়ালি থানায় মামলা করি। মামলা নং : ৭। তারিখ : ০২.০৯.১৯।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কসবা ফাড়ির পরিদর্শক শেহাবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামি আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।