একাত্তর নিউজ ডেস্ক : যশোর পঙ্গু হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় গট্টগোল হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, ত্রুটিপূর্ণ অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসায় অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে পঙ্গু হাসপাতালের মালিক বলছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, মণিরামপুর উপজেলার হাকোবা গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে মেহেদি হাসান মাসুমকে গত শনিবার ভর্তি করা হয় যশোর পঙ্গু হাসপাতালে। তিনি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ডান পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ডা. শিমুল রোগীর পায়ে অস্ত্রোপচার করেন। কিন্তু ভর্তির সময় চুক্তি হয় ডা. আব্দুর রউফ রোগীর অস্ত্রোপচার করবেন। নিহতের ভাই মিন্টু জানান, ডায়বেটিিিক পরীক্ষা ছাড়াই এবং এনেস্থিসিয়া ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর অস্ত্রোপচার করা হয় আর দুপুর দেড়টার দিকে রোগীর হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এসময় অক্সিজেন দেয়ার কথা বলা হলেও দায়িত্বরতরা জানান, আগে টাকা জমা দেন তারপর অক্সিজেন।
মিন্টুসহ অন্য স্বজনদের অভিযোগ, ত্রুটিপূর্ণ অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসায় অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রাতে রোগীর অস্ত্রোপচারের পর আর কোন চিকিৎসা দেয়া হয়নি। চেতনা ফেরার পর থেকেই রোগীর যন্ত্রনায় চটফট করতে থাকলেও রোগীর কাছে নার্স ছাড়া কর্তব্যরত কোন ডাক্তার আসেনি ।
রোগীর মৃত্যুর পর তারা ক্ষুব্দ হয়ে হট্টগোল শুরু করলে চিকিৎসক কর্মচারীরা গা ঢাকা দেন এবং হাসপাতালে হামলা হবে এই আশংকায় জরুরী পুলিশ মোতায়েন করে আর দ্রুত লাশ নিয়ে যেতে বলে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয় কর্তপক্ষ।
এই বিষয়ে পঙ্গু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা, এএইচএম আব্দুর রউফ জানান, অস্ত্রোপচারে কোন ত্রুটি ছিলোনা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একজন সুস্থ মানুষ হঠাৎ মারা যাওয়ায় তার স্বজনরা ক্ষুব্দ হয়েছিলো। ক্ষোভের কারণে নানা কথা বার্তা বলছেন।
মেহেদী হাসান মাসুম আর এফ এল গ্রুপের জোনাল ম্যানেজার নরসিংদী এরিয়ার । তার স্ত্রী এবং চার বছরের একটা শিশু কন্যা আছে।