যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

একাত্তর ডেস্ক :  যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আট শিক্ষার্থী। গত ২০ এপ্রিল তাদের বহিষ্কার করে প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হুমায়রা আজমিরা এরিন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি থেকে সদ্য আজীবন বহিষ্কৃত একরামুল কবির দ্বীপ, রোকনুজ্জামান, এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত মোতাসসিন বিল্লাহ, মাহমুদুল হাসান শাকিব ও হারুন অর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্যাম্পাসে নৌকা প্রতীক অবমাননা, ডেক্স ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননা, রাতে ভিসির মেয়েদের হলে যাওয়া, বর্ধিত হারে রিটেক ফি, ল্যাবরিটেক ফি আদায়সহ সুনির্দিষ্ট কিছু ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলো ছাত্রলীগ। যার নেতৃত্বে দেয়ার কারণে ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন এবং শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ইকবাল কবীর জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান পরিকল্পিতভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, যবিপ্রবিতে সেমিন্টার ফি দেয়ার পরেও অতিরিক্ত হিসেবে প্রতি বিষয়ে রিটেক ফি দুই হাজার ৫০০ টাকা, ল্যাবরিটেক ফি ১০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। যা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল থেকে কয়েকগুন বেশি নেয়া হয়। এছাড়াও কোন রশিদ ছাড়াই এডমিট কার্ড, ক্লাব উন্নয়ন ফিসহ বিভিন্ন নামে বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের আন্দোলনের সাথে এই দাবি যুক্ত করে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। এজন্য প্রশাসন আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো।

গত নভেম্বরে এক দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন ছাত্রী হলে একা প্রবেশ করেন। রাতে হল প্রভোস্ট ও হাউস টিউটর ছাড়াই তিনি হলে আসায় ছাত্রীরা অস্বস্তির মধ্যে পড়েন। বিষয়টিতে তারা প্রতিবাদ করেন। এসব কারণে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে দাবি করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,  প্রশাসনের অন্যায় সিদ্ধান্তের  প্রতিবাদ করলেই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের ভয় দেখানো হচ্ছে। চকরিচ্যুতের ভয়ে রয়েছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আট শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করার কারণে এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে এক আতঙ্কের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়

 

Please follow and like us: