জেলার কাপ্তাই উপজেলার দুর্গম চিৎ মরম এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)’র সন্ত্রাসীরা বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। নিহতের নাম উ সুই প্র মারমা প্রকাশ চেসে (৩৮)।
বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই এলাকার চিংহ্লা প্র মারমার ছেলে এবং স্থানীয় যুবলীগ’র সহ-সভাপতি।
নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আনা হয়েছে। তথ্য পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রের।
সূত্র জানিয়েছে, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় চিৎ মরম ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি উ সুই প্র“ মারমার বাসা ঘীরে ফেলে এবং তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এলাপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করে।
চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী আশপাশের ঘন অরণ্যে সন্ত্রাসীদের আটকে অভিযানে নেমেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘাতকেদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ দীপঙ্কর তালুকদার এ প্রতিনিধিকে বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যেখানে মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে। সেখানে সন্ত্রাসীরা সুযোগ দেশর কঠিন পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টায় নিরীহ মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছে। সেনাবাহিনী করোনা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, আমরা এই কাজের প্রশংসা করি। এই মুহূর্তে করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের নির্মূল করারও জরুরি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের ময়না তদন্তকারী ডাক্তার সওকত আকবর বলেন. নিহতের বুকে, গলায় ও ডান হাতে তিনটা গুলির ক্ষত রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পুলিশের মাধ্যমে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ চিৎ মরম যুবলীগ নেতা হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে দেখছি।