জি এম অভি : সরকারের দেয়া ত্রানে সঠিক বন্টন চান কাউন্সিলর আজিজুল ইসলাম । তিনি বলেন সরকার যে পরিমানে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন সেটা সঠিক বন্টন হলে কেউ না খেয়ে থাকবেনা। মহামারী করোনা ভাইরাস সারা বিশ্ব যখন এক আতংকের নাম। বাংলাদেশেও তার ভয়াবহতা বিস্তার লাভ করে। শুরু হতে থাকে একেরপর এক জেলা লকডাউন সারাদেশে করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান দুর্যোগে সমাজের খেটে খাওয়া পরিবারের সদস্যরা খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সারাদেশের ন্যায় যশোরের চিত্র একই । এই অসহায় সাধারন মানুষদের মধ্যে নিজ উদ্দ্যেগে খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছেন যশোর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: আজিজুল ইসলাম ও তার ভাই ব্যবসায়ি মো: রফিকুল ইসলাম ।
ইতিমধ্যে তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ৯ নং ওয়ার্ডে ১ হাজার মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেন। জানাযায়, নীলগঞ্জ সুপারিবাগান এলাকায় ৪শ৯৭ জন, বকচর চৌধুরি পাড়ায় জাহিদা বেগমের মাধ্যমে ৫২ জন,জোড়া মন্দির এলাকায় মুন্নার মাধ্যমে ১৭জন,বকচরে ইয়াছিন রমজান ও রুবেলের মাধ্যমে ৯৮ জন, শংকরপুর হুসতলা এলাকায় ফাতেমা বেগম,কদম,জামির হোসেন ও মিলনের মাধ্যমে ১শ৬৬জন, হাজারি গেটের রফিকুলের মাধ্যমে ৪৬জন, সন্যাসী দিঘিরপাড় এলাকায় রশিদ ও শুলভের মাধ্যমে ৩৪জন, বকচর কবরস্থান রোডে ফরহাদের মাধ্যমে ৪৫জন,বকচারে বশিরের মাধ্যমে ৩৮ জন, আলামিন মসজিদ এলাকার অমরেশের মাধ্যমে ৭ জনসহ ৯ নং ওয়ার্ডজুড়ে মানবিক সহায়তার সুসম বন্টন নিশ্চিত করেন কাউন্সিলর আজিজুল ইসলাম । এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা অনুযায়ী যশোর পৌরসভা থেকে ৫ দফায় পাওয়া ৯৪৩ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বন্টন করা হয়, বকচর এল মার্কেট এলাকার রাজন ও ফরহাদের মাধ্যমে ১০০ জনকে, হুসতলার লাল্টু , বটু, ইকবাল ও একলাজ শেখের মাধ্যমে ২শ ৫০ জন, শংকরপুর এলাকার এ্যাডভোকেট বাবুল ও হাসানের মাধ্যমে ২শ ৫০জন, শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ায় সবুজ, সাহাবুদ্দিন,সোহাগ ও নুরুজ্জামানের মাধ্যমে ১শজন। বাকি ২৪৩ খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে পর্যায়ক্রমে বন্টন করা হয়। যার বিতরণ দ্বায়ীত্বে ছিলেন, স্থানীয় মো: বদর মোল্লার ছেলে মো: বিপ্লব হোসেন, ইউসুব বিশ্বাসের ছেলে মো: সাহিন, আমিরুল মোল্লার ছেলে মনিরুল,শেখ সাদেক আলীর ছেলে মো: ওবায়দুল্লাহ।
সুত্র জানায়, চলমান এ করোনা দুর্যোগকালে সাধারন মানুষের সহায়তার জন্য সরকারের বরাদ্ধকৃত ২শটি রেশন কার্ড পান ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: আজিজুল ইসলাম । সে কার্ড প্রদান করা হয়েছে, বুনোপাড়ায় ১শ জন, নীলগঞ্জ তাতীপাড়ায় ৩৬জন, হুসতলায় ৩০ জন, জোড়া মন্দির এলাকায় ৩৪ জন রেশন কার্ড পেয়েছেন।
কাউন্সিলর মো: আজিজুল ইসলাম বলেন, আমার উদ্দেশ্য হলো অসহায় মানুষ গুলোর দুর্দিনে তাদের পাশে থাকা। এই কার্যক্রমই আমাদের শেষ না, ধারাবাহিক ভাবে এই কার্যক্রম চলতে থাকবে। ৯ নং ওয়ার্ডের মানুষেরাই আমাকে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন এই ওয়ার্ডের মানুষের সুখে দুখে নিজেকে যত বেশী সম্পৃক্ত করতে পারবো ততই নিজের কাছে ভালো খাকতে পারবো। কাউন্সিলর মো: আজিজুল ইসলাম বলেন, সমাজের বিত্তবানেরা এই দুর্যোগের সময় অসহায় হতদরিদ্র পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়াবেন।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন অপ্রতিরোদ্ধ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে এই রোগে বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি তাই প্রত্যেক পরিবারকে সতর্ক থাকা সহ বিশেষ করে বয়স্কদের শিশুদের আদলে ঘরে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
কিছু কিছু বিষয় নিয়ে নানান ধরনের গুঞ্জন শোনা যায় এমন প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর মো: আজিজুল ইসলাম বলেন, ( রাখে আল্লাহ মারে কে ) যতবেশি ভাল কাজই করি একটা শ্রেনীর মানুষ সেটাকে ভালো চোখে কখনোই দেখেননা । একটি কুচক্রি মহল সবকিছুতেই রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। তারা ভাল কাজকে বাহবা না দিয়ে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার পায়তারা করছে। করোনা দুর্যোগে আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য তার নির্দেশে আমরাও জনগনের সাথে সুখে দু:খে একসাথে ছিলাম এখনও আছি পরাবর্তীতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ।