সেই নায়েবের অপসারণ চাইলেন চেয়ারম্যান-সচিব 71news24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

মোঃ মেহেদী হাসান. মণিরামপুর :  দুই হাজার টাকা নিয়ে ৫২ টাকার রসিদ দেওয়া যশোরের মণিরামপুরের রোহিতার সেই ঘুষখোর নায়েবের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় জনগণসহ জনপ্রতিনিধিরা।

নায়েব গোলাম রসুলের ঘুষ বাণিজ্যের তথ্যভিত্তিক রিপোর্ট গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তার শাস্তিসহ অপসারণ চেয়েছেন ভুক্তভুগীরাসহ রোহিতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু আনছার, সচিব কৃষ্ণ গোপাল মুখার্জীসহ সব ওয়ার্ডের ১২ জন ইউপি সদস্য। নায়েবের অপসারণ চেয়ে তারা যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বরাবর চিঠি দিয়েছেন।

 

 

চিঠির অনুলিপি মণিরামপুরের ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডকে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, রোহিতা ইউনিয়ন এলজিএসপি মূল্যায়নে উপজেলার ১ম স্থান অধিকারী ‘এ’ ক্যাটাগরির ইউনিয়ন। গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশের পর পরিষদের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে নায়েব গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। জমির নামজারিসহ বিভিন্ন সময় নায়েব জনগণকে প্রতারিত করে আসছেন বলেও প্রচারণা রয়েছে।

 

 

নায়েবের অনৈতিক কাজের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের অর্জিত দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তাই তাকে দ্রæত অন্য স্থানে বদলি করার আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে। দুর্নীতির কারণে এই নায়েবকে কেশবপুর থেকে রোহিতায় বদলি করা হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউপি সচিব কৃষ্ণ গোপাল মুখার্জী বলেন, নায়েবের বিরুদ্ধে জনগণকে হয়রানির বিষয়ে গত ১৭ ও ১৮ ফেব্রæয়ারি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজ আমাদের নজরে আসে। পরে ১৯ তারিখে চেয়ারম্যান, আমি ও সব মেম্বররা পরিষদে মিটিং করি। নায়েবের কারণে আমাদের পরিষদের বদনাম হচ্ছে।

 

 

ফলে আমরা সর্বসম্মতভাবে তার বদলি চেয়ে ডিসি স্যারের কাছে আবেদন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই। সিদ্ধান্তটি রেজুলেশন আকারে চিঠির সাথে যুক্ত করে গত ২৩ ফেব্রæয়ারি ইউপি সদস্য আমিনুর রহমানের মাধ্যমে ডিসি স্যারের দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালের সহ পত্রিকায় রিপোর্টের ‘দুই হাজার টাকা নিয়ে নায়েবের ৫২ টাকার রসিদ দিলেন ভ‚মি কর্মকর্তা’ শিরোনামে নায়েব গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে প্রকাশিত খবরটি নজরে আসার পর নায়েবকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন এসিল্যান্ডি সাইয়েমা হাসান। জানতে চাইলে এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টালের সহ পত্রিকায় রিপোর্টের ভিত্তিতে নায়েব গোলাম রসুলকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। তিনি জবাব দিয়েছেন। ট্রেনিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নায়েবের জবাব পড়ে দেখতে পারিনি। এই ব্যাপারে দ্রæত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, নায়েব গোলাম রসুলের ব্যাপারে লেখা রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আনছারের কোন চিঠি আমি পাইনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি উপজেলার গাঙ্গুলিয়া গ্রামের কানাই কর্মকারের কাছ থেকে দাখিলার নামে দুই হাজার টাকা নিয়ে ৫২ টাকার রসিদ ও বাগডোব গ্রামের আতিয়ারের কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে ১০ টাকার রসিদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রোহিতা ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে গত ১৭ ফেব্রæয়ারি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালের সহ পত্রিকায় রিপোর্টের খবর প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়।

Please follow and like us: