খাজুরা বাঘারপাড়া থেকে, পারভেজ : সোমবার বেলা ১১টার দিকে যশোর-মাগুরা সড়কের খাজুরার সেকেন্দারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তায় দাড়িয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
নিরাপদ সড়ক চাই, ঘাতক ড্রাইভার ও হেলপারের ফাঁসি চাই এবং আমার বোনের জন্য দোয়া চাই, ফাহিমা কবরে ড্রাইভার কেন বাইরে, শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতি চাই, স্কুলের সামনে স্পীড ব্রেকার চাই ইত্যাদি স্লোগানের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের মানববন্ধন সকলকে স্থবির করে তোলে। এসময় যশোর-মাগুরা রোডের ভাটার আমতলা বাজারসহ গোটা এলাকা শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে।
নিহত ওই স্কুলের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ফাহিমার ব্যাপারে তার সহপাঠিদের কাছে জানতে চাইলে তারা কেঁদে ফেলেন। সহপাঠি ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ফারজানা বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবীতে আমাদের মানববন্ধন। একই ক্লাসের আদিতা বলেন, ফাহিমা আমার একজন খুব ভালো বন্ধু ছিলো এবং তার হত্যার বিচার চাই। এভাবে নিহত ফাহিমার ব্যাপারে জানতে চাইলে কথা বলার শুরুতেই কেঁদে ফেলেন বৃষ্টি, মিম, ফারহানা, সাজেদা, তৃষা, হামিমা, মাহফুজা, নাছরিনসহ একই ক্লাসের সহপাঠিরা। তাদের সকলের দাবী ফাহিমার মত আর কাউকে যেন অকালে জীবন না দিতে হয়।
বিদ্যালয়ের সভাপতি রাজীব রায় বলেন, ফাহিমাকে হারানোর শূণ্যতা আমাদের কেউ পূরণ করতে পারবে না। তাকে হারিয়ে আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি। দোষীদের যথাযথ বিচার না হলে আগামীতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিবো। প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, বাসের স্টাফরা শিক্ষার্থীদের প্রতি মোটেও সদাচরন ও সহানুভূতি দেখায় না। ফাহিমা হত্যা মামলা বাদী বাঘারপাড়ার খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, এ রাস্তা খুবই ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। হাইওয়েতে বারবার দূর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিকার হিসাবে দক্ষ ড্রাইভার ও হেলপারের প্রয়োজন।
এ বিষয়ে খাজুরা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান তারেক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা সমিতির সবাই খুবই মর্মাহত। প্রত্যেক ড্রাইভার ও হেলপারকে সতর্কতা করা হয়েছে। পরবর্তীতে এমন দূর্ঘটনা ঘটবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার ৩টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে যশোর-মাগুরা সড়কের খাজুরা ফিলিং ষ্টেশনের সামনে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক লোকাল বাসের হেলপার নামাতে গেলে সে চলন্ত বাস থেকে পড়ে যায়। এসময় তার দুই পায়ের উরুর উপর দিয়ে বাসের চাকা উঠে গেলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।