শেখ গফ্ফার রহমান, একাত্তর নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম ডেক্সঃ
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে বেলা ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশিদ গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেফতারের পর তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
তাকে গ্রেফতারের সময় প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিল। আশঙ্কা ছিল তাকে গ্রেফতারের পর মাদরাসার শিক্ষার্থী ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়বে পুলিশ। তবে তারা রাখতে পারেননি। খুব স্বাভাবিকভাবেই মামুনুলকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিশ। তবে মামুনুলকে নিয়ে আসার সময় হেফাজতের কর্মীরা মাদরাসার সামনে বিক্ষোভ করে।
দুপুরে ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম জানান, মিনিট দশেক আগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। মামুনুলকে তেজগাঁওয়ের উপ পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে ধরা পড়ার পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল। এ ঘটনার পর হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এছাড়া বায়তুল মোকাররম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারীর ঘটনার পর থেকেই তিনি নজরদারিতে ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আপাতত মোহাম্মদপুর থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, মামুনুলের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া, সম্প্রতি দেশজুড়ে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত অনেকগুলো মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী মামুনুল হক।