স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের ঘোষিত ‘লকডাউনে’ কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া ১১৬ জন বাংলাদেশি বিশেষ ব্যবস্থায় দু‘দিনে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ও শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা ভারতের পেট্রাপোলের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বাংলাদেশে আসেন।
শুক্রবার ৮১ জন ও শনিবার ৩৫ জন ফেরত আসেন। শুক্রবার ফেরত আসা ৮১ জনের শরীরে উচ্চতাপমাত্রা বা করোনাভাইরাসের অন্য কোনো লক্ষণ পাওয়া না গেলেও শনিবার সকালে ফেরত আসা ৩৫ জনের মধ্যে পাঁচজনের শরীরে উচ্চতাপমাত্রা পাওয়ায় তাদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইশোলেশনে রাখা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, শুক্রবার কলকাতা থেকে ফেরা ৮১ বাংলাদেশির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে অধিক কড়াকড়ি ও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। তবে তাদের কারো দেহে উচ্চতাপমাত্রা বা করোনাভাইরাসের অন্য কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। এদিন ভারত থেকে আসা যাত্রীদের প্রত্যেককে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষাকালে তাদের হাতে বিশেষ চিহ্নিতকরণ লাল সিল দেওয়া হয়েছে।
ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অপর চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে ভারত থেকে ৩৫ জন বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী দেশে প্রবেশ করে। এসময় তাদের মধ্যে পাঁচজন যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পাওয়ায় তাদেরকে বাসায় না পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে ঊধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দু‘দিনে আসা ১১৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের শরীরে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে প্রত্যেকের ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর রাখা হয়েছে। নিজ নিজ জেলায় সেগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হবে তাদের প্রতি নজর রাখার জন্য।