বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ৩ কনস্টেবল হন্ডির টাকা সহ ভারতের পেট্রাপোলে আটক অবশেষে মুক্ত
শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বেনাপোল : যশোরে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের তিন পুলিশ ও পুলিশের এক পাবলিক ক্যাশিয়ার পেট্রাপোল থেকে হুন্ডির ১২ লাখ টাকা নিয়ে আসার সময় বিএসএফে’র হাতে আটক হয়।
পরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ ওপারে গিয়ে তাদের কে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
তবে এ বেপারে ইমিগ্রেশনের পাবলিক ক্যাশিয়ার রুহুলকে বিএসএফ ছাড়েনি। তাকে ১২ লাখ টাকাসহ আটক করে রেখেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পেট্রাপোলে।
জানা গেছে, বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আবুল বাশারের দুই ক্যাশিয়ার কনস্টেবল আজম ও রুহুল (পাবলিক) এবং কনস্টেবল রমা ও তিষা পেট্রাপোলে যান কিছু ফল কেনার জন্য। তারা গিয়ে পেট্রাপোল বাজারের রাকেশের কসমেটিকস দোকান থেকে ১২ লাখ বাংলাদেশী টাকা ৩টি ব্যাগে ভরে তার ওপর কিছু ফল কিনে বেনাপোলে ফিরে আসার সময় বিএসএফ তাদের ব্যাগ তল্লাশী করে। সেই ব্যাগে পাওয়া যায় ১২ লাখ টাকা। বিএসএফের একটি সুত্র জানায়, বিভিন্ন সময় আজম এবং রুহুল পেট্রাপোলে আসে এবং ফল কেনার নাম করে হুন্ডির টাকা নিয়ে যায়। বিএসএফ সোর্স নিয়ে করে সোমবার ঘটনাটি জেনেই তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আবুল বাশার। তিনি বিএসএফের সাথে দেনদরবার করে কনস্টেবল রুমা, তিষা এবং আজমকে ছাড়িয়ে আনেন। আর পাবলিক ক্যাশিয়ার রুহুলকে বিএসএফ আটক করে।
এর আগেও আজম বেনাপোল আমড়াখালিতে হুন্ডির টাকাসহ বিজিবি’র হাতে আটক হয়েছিল।
এ ব্যাপারে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আবুল বাশারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শুনেছি হুন্ডির টাকা ভারত থেকে নিয়ে আসার সময় রুহুল আমিন নামের একজন আটক হয়েছে। এর সাথে কোন পুলিশ সদস্য জড়িত নয়।
তবে এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার স্বীকার করেন। একই সাথে তিনি জানান, এই তিন কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ডিআইজি মহিদ উদ্দিন, এই তিন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা করে কারাগারে পাঠার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডিআইজির এই আদেশ কার্যকর হয়নি।