একাত্তর নিউজ ডেস্ক :
আগামী সাত আগস্ট থেকে সারা দেশের সাথে যশোরে ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনার টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে। জেলার আটটি পৌরসভা ও ৯১টি ইউনিয়নে এ টিকাদান কার্যক্রম চলবে। সেখানে নারী ও বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নের সাবেক ১নং ওয়ার্ডে টিকা কেন্দ্র প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা প্রদানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেছেন, ওয়ার্ড পর্যায়ের পাশাপাশি ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী সাত আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সকল ইউনিয়নের সাথে যশোরের ৯১টি ইউনিয়ন ও আটটি পৌরসভার সাবেক ১নং ওয়ার্ডে (বর্তমানে ১,২,৩ নং ওয়ার্ড) করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে টিকা প্রদানের জন্য থাকবে তিনটি বুথ। প্রতিটি বুথে দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী (জিনি টিকা দিবেন) ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। এছাড়া ইপিআই কর্যক্রমের দিন বাদে সপ্তাহে চারদিন করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে দুইদিন করে পর্যায়ক্রমে বাকি ওয়ার্ডেও টিকা কার্যক্রম চলবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই কেন্দ্রে বুথ থেকে টিকা পাবেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই টিকা কার্যক্রম চলবে। ১৮ ঊর্ধ্ব সকলে টিকা নিতে পারবেন। তবে টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রে আসা নারী ও বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, টিকা কার্যক্রম সঠিকভাবে পালনের লক্ষ্যে জেলার ৯১টি ইউনিয়ন এবং আটটি পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের (জিনি টিকা দিবেন) গত শনিবার প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়নে টিকাকেন্দ্র প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাদের।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী সারা দেশের সাথে একযোগে যশোর জেলাতেও এই কার্যক্রম শুরু হবে। ইতিমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাদের কেন্দ্র প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে জেলায় টিকার সংকট নেই। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে আরও টিকা আসবে। ফলে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দিতে সমস্যা হবে না। টিকা কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার কেন্দ্রে একটি করে টিম পরিদর্শন করবে।