ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
সাবেকে স্ত্রীর সাথে প্রতারণা মামলায় যশোররে বসুন্দিয়ার আলোচিত কোয়াক ডাক্তার খললিুর রহমান খললিক এক বছররে কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরমিানা করছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ দিত্বীয় আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এই রায় দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত প্রতারক খলিল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারীর আদেশ দেয়া হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত প্রতারক খলিল অভয়নগর উপজেলার চেঙ্গুটিয়ার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি বসুন্দিয়া মোড়স্থ্য পুরাতন মাছ বাজারের পাশে শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকতেন। বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ কথিত সাংবাদিক সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, একাধিক বিয়ের নায়ক খলিল বসুন্দিয়া মোড়স্থ্য মৃত ডাক্তার মুনসুর আলীর মেয়ে এসএম মাহমুদাকে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। এসময় বসুন্দিয়া মোড় ফারাজীপাড়ায় সৈয়দ আকবর আলীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক নামে একটি হাসপাতাল পরিচালনা করতেন খলিল। ওই ক্লিনিকটি স্থানান্তর করে পুরাতন মাছ বাজারে আসেন। সেখানে অধিক মুনাফার জন্য বরিশালের এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানানোয় খলিলকে পুলিশ আটক করে। এরপরে তাকে মোবাইল কারাদন্ড দেয়। ফলে ব্যবসায় ধস নেমে আসে। পরে ব্যবসার উন্নতি ঘটানোর জন্য স্ত্রী মাহমুদার কাছ থেকে ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল ২০ লাখ টাকা ধার স্বরূপ গ্রহণ করেন খলিল। নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ না করায় বসুন্দিয়া মোড়স্থ্য আলফা মিলগেট শাখা সোনালী ব্যাংকে খলিলের নিজ নামীয় (৩৩০০২৪০৩) নম্বর হিসাবের বিপরীতে ২০ লাখ টাকার (৫৯৫৯৯২০) একটি চেকের পাতা ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল স্ত্রী মাহমুদাকে দেন। ২৭ এপ্রিল নগদায়নের জন্য চেকটি নিয়ে ব্যাংকে যান মাহমুদা। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমানে টাকা না থাকায় চেকটি প্রত্যাখ্যাত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে ২৮ এপ্রিল আইনজীবীর মাধ্যমে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে খলিলকে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়।
একই বছরের ৩ মে লিগ্যাল নোটিশটি খলিল গ্রহণ করেছে বলে ফেরৎ রশিদ মাহমুদার কাছে আসে। এক মাস পার হলেও লিগ্যাল নোটিশের কোন জবাব দেয়া বা মাহমুদার টাকা পরিশোধের ব্যাপারে খলিল কোন যোগাযোগ করে নাই। ফলে ৯ জুন খলিলের বিরুদ্ধে যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-ক অঞ্চলের মামলা দায়ের করেন মাহমুদা। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি খলিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকার জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। কিন্তু ধুরন্দর খলিল এই মামলার রায়ে দন্ড প্রাপ্ত হয়ে আটক হওয়ার ভয়ে আদালতে এলেও তিনি হাজিরা না দিয়ে পলাতক দেখিয়েছেন। ফলে রায় হলেও তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য কোয়াক ডাক্তার খলিল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ক্লিনিক ব্যবসার নামে নারী ঘটিত ঘটনাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা মূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছেন। সে কারণে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে একাধিকবার কারাদন্ড ও অর্থ দন্ড দেয়া হয়। সম্প্রতি সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি করায় কয়েকদিন আগে অভয়নগরের প্রেমবাগ এলাকার লোকজন ধরে গণপিটুনি দেয়।