চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুনে এ পর্যন্ত মোট ৪৯ জন মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে। এর মধ্যে ছয় জনই যশোরের। অন্যান্যদের মধ্যে কয়েকজনের পরিবার-স্বজনরা হাসপাতালে আসেনি। আবার অধিকাংশই পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায় মরদেহ শনাক্ত করার মত নয়। ফলে এখনো ৩৫ জনের পরিচয় মেলেনি।
যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন যশোরের ইব্রাহীম হোসেন, রানা মিয়া, নিপুন চাকমা, শাকিল, আফজাল হোসেন ও নয়ন, কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মনিরুজ্জামান, ভোলা দক্ষিণ বালিয়ারার হাবিবুর রহমান, বাঁশখালীর রবিউল আলম, মুমিনুল হক, মহিউদ্দিন, তোফায়েল আহমেদ, নোয়াখালীর চাটখিলের আলাউদ্দিন, সুমন।
বিএম ডিপোর মুখপাত্র শামসুল হায়দার সিদ্দিকী সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালকুদার বলেন, নিহতদের মরদেহ চমেক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৮ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা রয়েছে। আগুন নেভানোর সময় বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে তাদের। দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে দুই শতাধিক মানুষ ভর্তি রয়েছেন।
আর ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লাশের সারি আরো দীর্ঘ হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।