নিজস্ব প্রদিবেদক:
স্বামীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ব্লাকমেইলিং করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামের মৃত আজিজ শেখের মেয়ে সেই আলোচিত মক্ষীরানি জোৎসনা পারভিনের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে বিস্ফোরক সব তথ্য। বিয়ের আগে থেকেই জোৎসনা নানা অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেন এলাকাবাসী। আর এই কারণে একে একে ৫ স্বামীর সঙ্গে ঘর বাঁধলেও তার বনিবনা ছিলনা।
জোৎসনার সাবেক স্বামী সিরাজুল ইসলাম বলেন, জোৎসনা একজন বহুগামী নারী। তার বিরুদ্ধে অনেক অনৈতিক কাজের অভিযোগ আছে এলাকায়। বিয়ের পর থেকে আমার কাছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে অসামাজিক কাজের অভিযোগ আসতে থাকে।
সূত্র জানায়, ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জোৎসনা ঢাকায় ফ্লাট ভাড়া করে চারটি মেয়ে নিয়ে দেহ ব্যাবসা করতো।প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেন এই জোৎসনা।
প্রথম স্বামী আব্দুস সবুরের সাথে তালাক হওয়ার পর এক পর্যায়ে গাড়ি চালক এম এ লতিফের সাথে বিয়েতে বসেন। কয়েক মাস যেতেই তালাক হয়ে যায় তাদের। এরপর এলাকার এক গরু ব্যাবসায়ী আবু তালেবের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন আবারো। এই স্বামীর সাথেও হয়ে যায় ছাড়াছাড়ি এলাকার মানুষ তার এই অপকর্মের জন্য অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশের শর্তে এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, এই জোৎসনা কে আমরা অনেক দিন ধরেই দেখছি। উল্টা-পাল্টা চলাফেরা করে সে। বিভিন্ন সময় এলাকার বখাটে ছেলেদের সাথে মিশে। এই ধরনের বিয়ে ব্যাবসায়ী মহিলার শাস্তি হওয়া উচিত।
জোৎসনার প্রতারণার শিকার সাবেক স্বামী বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সমাজ সেবক কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর গ্রামের শাহীদ আলম বলেন, জোৎসনা আমার সাথে জমি বিক্রির নামে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছি আশা করছি আমি ন্যায় বিচার পাবো। জোৎসনা শুধু আমার সাথে না সাবেক চার স্বামীকে বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইলিং
করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জোৎসনা পারভিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সাথে যাদের ডিভোর্স হয়েছে তারা আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য এগুলো বানিয়ে বলছে। এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।