একাত্তর ডেস্ক : বুধবার দুপুরে যশোর পৌরসভার সামনে বেপরোয়া গতি সম্পন্ন লেগুনার ধাক্কায় রিক্সার দুই শিক্ষার্থী ও তার মা আহত হয়েছে। এঘটনায় পৌরসভার কর্মচারীরা লেগুনাসহ চালককে হেফাজতে নেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ লেগুনার পক্ষ নিয়ে পৌরসভায় হামলা চালিয়েছে।
পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জে পৌর মেয়রের গাড়ীর চালক মেহেদী হাসান ও পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াসহ কয়েক আহত হয়েছে। এদেরকে ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনায় প্রতিবাদে পৌরকর্মচারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় এএসআই তৌহিদ মিয়াকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
যশোর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, বুধবার দুপুর আনুমানিক পৌনে ১ টার দিকে পৌরসভার সামনে দিয়ে একটি রিক্সায় দুই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক যাচ্ছিলেন। এ সময় বেপরোয়া গতি সম্পন্ন একটি লেগুনা রিক্সাটিকে ধাক্কা মারে। এতে রিক্সায় থাকা অভিভাবক ও দুই শিক্ষার্থী রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে আহত হয়। পৌরসভার প্রধান ফটকের সামনে দুর্ঘটনা ঘটায় পৌর মেয়রের গাড়ীর চালক মেহেদী হাসান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন, ইলিয়াস হোসেনসহ অন্যান্যরা গিয়ে লেগুনাসহ চালককে শিক্ষার্থীদের সহযোগীতায় ধরে ফেলে। তারা লেগুনা চালকের লাইসেন্স দেখতে চান। লেগুনা চালক লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হয়। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই কোতয়ালি থানার (মোবাইল-১২) জরুরী ডিউটি থাকা এএসআই তৌহিদ মিয়াসহ একদল পুলিশ ও পুলিশ লাইনে কর্মরত এটিএসআই সামিউলসহ একদল দাঙ্গা পুলিশ দ্রুত পৌরসভায় আসে। তারা লেগুনা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিষয়টি নিয়ে থানা কর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদী হাসান, ইলিয়াসসহ কয়েকজনের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। পরিস্থিতি সংঘর্ষের রুপ নেয়। পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পৌরসভার গেট বন্ধ করে পুলিশকে আটকে ফেলে।
পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু তার অফিস কক্ষ থেকে নীচে নেমে আসে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনছার উদ্দিনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এদিকে পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগে এএসআই তৌহিদ মিয়াকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। কোতয়ালি মডেল থানায় বুধবার সকাল থেকে ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান এএসআই তৌহিদ মিয়াকে ক্লোজের বিষয়টি স্বীকার করেন।