নাজিম,বসুন্দিয়া,যশোরঃ
আইন সবার জন্য সমান হলে রাস্তাঘাটে লাইসেন্স বিহীন গাড়িতে নানা রকম পেশা,দল,প্রতিষ্ঠানের পরিচয় লিখে চলছে কিভাবে?আবার ভি আই পি গাড়ির বহর যেতে থামিয়ে রাখা হয় সবকিছু ।রাস্তা পরিবর্তন করিয়ে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে বিশেষ কারোর জন্য।
আবার আইনের চোখে সবাই সমান হলে জেল খানায় ডিভিশন দেয়া হবে কেন?কেউ অসুস্থ্য সেজে হাসপাতালে আরামে থাকে।তাছাড়া ক্ষমতাশীল দল করলে বাংলাদেশের আইন থাকে প্রচুর সুবিধা দেয়।
স্কুলের গেটে বখাটেদের বিরক্তিতে বাচচা মেয়েদের চলাফেরা সংকুচিত হচ্ছে।কেউ এদের কিছু বলতে গেলে বিপদ কারন তারা বড় ভাইদের ছত্রছায়ায় আছে।স্কুলের পথে রোমিওদের বিরক্তি কেউ না দেখলেও নীরবে সয়ে নিতে হচ্ছে স্কুলগামী মেয়েদের। মান সম্মানের ভয়ে অনেকে বিষয়টি কাউকে বলে না।বখাটে এসব ছেলেরা পার্শ্ববর্তী কলেজে থেকে আসে। এইস এস সি পড়া/পড়ালেখা না করা এসব ছেলেরা মেয়েদের কাছে মোবাইল নং,ফেসবুক আইডি ইত্যাদি দাবি করছে। না দিলে গলায় দড়ি দেবার মত দড়ি চায়। এভাবে সিক্স,সেভেন,এইট,নাইনে পড়া ছোট ছোট মেয়েদের প্রতারনার ফাদে ফেলছে।আশেপাশের যে কোনো বড় স্কুলের সামনে গেলে এসব খবরের সত্যতা মিলবে।
ম্যানেজিং কমিটির ম্যানেজ করা কাজটি এখন আর করতে হয় না।অনেক ক্ষেত্রে তারা তাদের দায়িত্ব বোঝেও না। উনারা এসে শুধু সম্মানিত শিক্ষকদের কে দেরি করে আসল,কে ক্লাসে ২ মিনিট পরে গেল,কাছের কার নামটি উপবৃত্তির খাতায় লেখা যায়,ফরম ফিলআপে কার কত টাকা কম দেয়া যাবে, ফান্ডে কত আছে—এসব করে চলে যান। চোখের সামনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারিদিকে বখাটেদের উতপাত নিয়ে চোখ,মুখ কিছুই খোলেন না।অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সাথে ম্যানেজিং কমিটির বিশেষকরে সভাপতির স্বার্থের দহররম মহররম থাকে।সে কারনে সভাপতি সাহেব প্রধানদের কোনো ভুলই পান না। এভাবে দীর্ঘদিন স্বেচ্ছাচারিতা করতে করতে অনেকেই এখন সিরাজু-দ্দৌউলা বনে যাচ্ছেন হয়ত।
আসুন বিবেকের আদালতে দাড়াই সবাই।যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করি।দেখি আমরা আমাদের করনীয় কাজটি করছি কিনা।সামাজিক অন্যায়,অবক্ষয়ের কোনো প্রতিবাদ করছি কিনা।আজ রাফি ধর্ষীত হয়ে,আগুনে পুড়ে আকালে ঝরে গেল।আমরা শুধু মৃত মেয়েটির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে কত দয়ালু এবং শোকাতুর হবার ভান করছি।
এতে কোনোদিন রাফিদের অবস্থা পরিবর্তন হবে না।আইন চাই যে আইন সবার জন্য সমান।আইন চাই যে আইন প্রয়োগ করা যায়।