প্রানী চিকিৎসক ডা: শরিফুল ইসলামের ভুলের খেসারতে প্রান গেল লক্ষাদিক টাকার গরু: খামারী দিশেহারা

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

প্রানী চিকিৎসক ডা: শরিফুল ইসলামের ভুলের খেসারতে প্রান গেল লক্ষাদিক টাকার গরু: খামারী দিশেহারা

 

একাত্তর নিউজ ডেস্ক :   যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় মিল্কভিটা কোম্পানীর ম্যানেজার কাম-চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক খামারির লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গরু ভুল ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় মিল্কভিটা কোম্পানীর ম্যানেজার কাম-চিকিৎসক নিজে গরুটির চিকিৎসা না করিয়ে তার কর্মচারীকে দিয়ে চিকিৎসা করানোর কারণে এই ঘটনা ঘটে।
পরে নিজের দায় এড়াতে তার কর্মচারীর উপরে সমস্ত দায় চাপিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরে ঝিকরগাছার হাজিরালীতে মিল্কভিটার একটি কার্যালয় স্থাপিত হয়েছে। এখানে স্থানীয় খামারীদের কাছ থেকে দুধ কেনা হয়। একইসাথে বিভিন্ন খামারে প্রয়োজনে গরুর চিকিৎসাও করান উক্ত ম্যানেজার। এজন্য তিনি গরু মালিকের কাছ থেকেও নির্দিষ্ট অংকের অর্থও নেন। পাশাপাশি তিনি খামারিদের নিয়ে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ১৬ জুন উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের খামারি রফিকুল ইসলামের খামারের একটি গাভী অসুস্থ হলে তিনি মিল্কভিটার ম্যানেজার কাম-চিকিৎসক শরিফুল ইসলামের স্মরনাপন্ন হন। কিন্তু তিনি নিজে চিকিৎসা দিতে না গিয়ে তার কর্মচারী অস্টম শ্রেণী পাশ আশরাফুলকে ঘটনাস্থলে পাঠান। আশরাফুল উক্ত খামারে গিয়ে কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই গাভীর শরীরে স্যালাইন ও ক্যালসিয়াম পুশ করেন। এর মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে ১৫ দিন বয়সের বাছুর রেখে গাভীটি মৃত্যুর মুখে পতিত হয়।
বিষয়টি নিয়ে গাভীর মালিক ও স্থানীয়রা মিল্কভিটার ম্যানেজারের কাছে কৈফিয়ত তলব করলে তিনি নিজেকে আড়াল করতে সম্পূর্ণ দায় তার কর্মচারী আশরাফুলের উপর চাপিয়ে দেন এবং তার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। যার অংশ হিসেবে তিনি ১৯ জুন আশরাফুলের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে গাভী মালিককে দেন। কিন্তু গাভী মালিক সেটা গ্রহণ না করে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। শরিফুল বিষয়টি নিয়ে আশরাফুলের উপর চাপ সৃষ্টি করলে তিনিও আত্মগোপনে চলে যান। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এঘটনা নিয়ে গাভী মালিকসহ এলাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ক্ষতিপূরণসহ এঘটনায় দায়ী মিল্কভিটার ম্যানেজার কাম-চিকিৎসক শরিফুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা জানান, মিল্কভিটা কোম্পানীর একমাত্র শরিফুল ইসলামের চিকিৎসা দেওয়ার বৈধতা আছে। ফলে ঐ গাভী হত্যার দায় তাকেই নিতে হবে।

Please follow and like us: