একাত্তর নিউজ ডেস্ক : ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ১৯৩ জনকে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যশোরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে জেলা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলা পুলিশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, এবারে জেলা পুলিশের স্বচ্ছতা ও নিয়োগকৃত কনষ্টেবলদের যোগ্যতার কারণে কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, ভ্যান চালক, নরসুন্দর এ সকল পেশাজীবীর সন্তানরাই বেশির ভাগ চাকরী পেয়েছে। এছাড়া তিনি তাদেরকে দেশ ও জাতির স্বার্থে সৎ ভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।
অপরদিকে, চাকুরি প্রাপ্তরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং সরকারকে এ প্রক্রিয়া অব্যহত রাখার অনুরোধ করেন। পুলিশ সুপার মঈনুল হক পদক্ষেপের কারণে শতভাগ সত্য ওন যোগ্যতার মাপকাঠিতে নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। কোতয়ালী, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, শার্শা, বেনাপোল, কেশবপুর, মনিরামপুর, অভয়নগর, বাঘারপাড়া থানার অনেক কৃষক শ্রমিক রিকশাচালক কর্মচারী সন্তানেরা কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন। আর এসবই সম্ভব হয়েছে পুলিশ সুপার মঈনুল হক বিপিএম পিপিএম এর সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে।
তারা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবীদের দ্বারা গঠিত হবে এবং পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এতে সাধারণ মানুষ পুলিশের নিকট হতে তার প্রত্যাশিত সেবা পাবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খ-সার্কেল জামাল আল নাসের, ক-সার্কেল গোলাম রব্বানী শেখ, সদর সার্কেল অপু সরওয়ারসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং জেলার ৯ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য যশোরের পুলিশ লাইন্স এর গত ২২ জুন হতে ২৬ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে(১) সাধারণ কোটায় (পুরুষ) ১৬০৬ জন, (২) সাধারণ কোটায় (নারী)১৯৩ জন, (৩) মুক্তিযোদ্ধা (পুরুষ)-৯৯ জন, (৪) মুক্তিযোদ্ধা (নারী) ১৫ জন, (৫) পুলিশ পোষ্য কোটায় ২৫ জন, (৬) আনসার ভিডিপি কোটায় ৫ জন, (৭) এতিম কোটায় ৭ জন। এনিয়ে ১৯৫০ জন শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ১০৬৯ জন। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষায় ৩৫৪ জন উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়।
২৭ জুন সাধারণ কোটায় (পুরুষ) ১৩৬ জন, সাধারণ কোটায় (নারী) ৬০ জন, মুক্তিযোদ্ধা (পুরুষ) ২১ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় (নারী) ২ জন, পুলিশ পোষ্য কোটায় ৪ জনসহ ২২৩ জন প্রার্থী তাদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন। এরপর সাধারণ (পুরুষ ও নারী ), মুক্তিযোদ্ধা (পুরুষ ও মহিলা) ও পুলিশ পোষ্য কোটায় মোট ১৯৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।