একাত্তর নিউজ ডেস্ক : যশোর সদর উপজলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলবাঁধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মিত ভবনে হস্তান্তরের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা অধিদপ্তরকে দায়ী করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
স্কুলের অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, ৭৮ লাখ টাকা ব্যয় জঙ্গলবাঁধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়র তিন রুমের দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে । ভবনর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইনতাজ কনস্টাকশন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝে দেবে।
এর মধ্য গত সপ্তাহ দ্বিতল ভবনের ওপরের তলার প্রতিটি রুমে একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে।অভিভাবক আলমগীর হোসেন জানান, নির্মাণের সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিমেন্ট, বালু, খোয়া এবং রডের পরিমাণ কম দিয়েছে। যার কারণে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে।
সেখান থেকে ভেঙে পড়ার আশংকা রয়েছে।কয়েকজন অভিভাবক জানান, ভবন নির্মাণ করার সময় স্কুলর প্রধান শিক্ষক এস এম জসিম উদ্দিন যশোর শিক্ষা অফিসের ইঞ্জিনিয়ার তদারকি করেছেন। এসময় তারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এ কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছামত কাজ করেছে।
স্কুলের শিক্ষক প্রশান্ত বাবু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ দেখার জন্য প্রতিদিন হাজিরা নিয়েছেন বলে অভিযাগ রয়েছে।
তিনটি রুমে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে স্বীকার করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএম জসিম উদ্দিন বলেছেন, ভবন নির্মাণর ব্যাপারে আমি কিছু বুঝি না। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এটি দেখভাল করছে। ফাটলের বিষয়টি তাদেরকে জানিয়েছি।
যশোর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার রফিকুজ্জামান জানান, জঙ্গলবাঁধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। কয়েকদিনের মধ্যে ওয়ার্কওর্ডার অনুযায়ী ভবনটি বুঝে দেয়া হবে।
ফাটল দেখার ব্যাপারে তিনি বলেন, ভবনের লিনটন, ইটের সংযোগ স্থানে ফাটল ধরা স্বাভাবিক। খারাপ কিছু না। তবে সেটি আবার সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দেবেন বলে জানান।
যশোর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরর একাধিক ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, ভবন নির্মাণে কোন ধরণের ফাটল দেখা দেয়া খুবই খারাপ। সেক্ষেত্রে নির্মাণ সামগ্রী কম দেয়ার কারণে এটা হয়ে থাকে।