একাত্তর নিউজ ডেস্ক :
১লা আগষ্ট শোকের মাস শুরু,প্রতিটি বাঙালি আজ শোকাবহ। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।এই শোকের মাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্য সহ শিশু রাসেল কে রাতের অন্ধকারে একদল বেপরোয়া উশৃংখল সেনাসদস্য সেনাছাউনি খুনী জিয়াউর রহমানের নির্দেশে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নুর চৌধুরী সেই খুনী জিয়ার নির্দেশ মেনে জাতিরপিতাকে হত্যা করে এবং নিজ মুখে স্বীকার করে যে আমাদের পিতা মুজিবকে নৃশংস, বর্বরোচিত ভাবে হত্যা করে।বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনী নুর চৌধুরী কে কানাডা থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ডিপ্লোমেটিক জোন কানাডা এম্বাসেডর, গুলশান এবং বাটারা থানার সামনে গণজমায়েত ও গণস্বাক্ষর জমাদান কর্মসূচি পালন করা হয়।পরে শোক মিছিল করি।
#তবে কানাডার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ফেরত পাঠানো হলে মৃত্যুদন্ড হতে পারে এমন ব্যক্তিকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কানাডা ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। কানাডিয়ানদের জন্য মৌলিক বিষয় হচ্ছে যাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তার কি মৃত্যুদন্ড হবে! কারণ কানাডিয়ান সরকার নিজেরাই বিষয়টির বিরোধিতা করেন।
উল্লেখ্য, কানাডাতে শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ডেরর বিধান নেই। বিষয়টি এখন বিচারাধীন আছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের করা মামলার শুনানি হয়েছে গত মার্চে। কানাডার ফেডারেল কোর্টে করা ওই মামলায় বাংলাদেশের আইনজীবী এবং কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের আইনজীবীরা নিজেদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। যুক্তিতর্ক শেষে বিচারপতি পরে তার সিদ্ধান্ত জানানোর কথা উল্লেখ করেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই নূর চৌধুরী কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে একটি প্রি-রিমোভাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট দরখাস্ত করে জানায় তাকে যদি ওই দেশ থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তবে তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। গত ১০ বছর কানাডার সরকার এই দরখাস্তটি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান না করে ঝুলিয়ে রেখেছে ।
২০১৮ এর জুন মাসে কানাডার ফেডারেল কোর্টে বাংলাদেশ এ বিষয়ে একটি রিট অব ম্যানডামাস দাখিল করেছে এবং কোর্টের কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত চেয়েছে। কোর্টের কাছ থেকে অবশ্য পালনীয় নির্দেশনা চেয়ে এই রিট অব ম্যানডামাস দাখিল করা হয়।
আমরা ১৭ কোটি বাঙালি চাই বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনী নূর চৌধুরীর দরখাস্তের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে আদালত নির্দেশ দিক। আমরা জানি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস নূর চৌধুরীর দরখাস্ত গ্রহণ বা প্রত্যাখান যেকোনোটি করতে পারে, কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি সহ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন পরিবার সহ সমগ্র বাঙালিরা চাই কানাডিয়ান সরকার তারা একটি সিদ্ধান্ত আসুক,খুনী নুর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানো হোক।।
১৯৯৯ সালে কানাডার একটি কোর্ট নূরের শরণার্থী সংক্রান্ত একটি আবেদন খারিজ করে তাকে বহিষ্কারের আদেশ দেয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০০৭ সালে নিম্নকোর্টের আদেশ বহাল রাখে উচ্চ আদালত এবং তাকে আবার বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ২০০৭ সালে কানাডিয়ান সরকার একটি চিঠি দেয় বাংলাদেশকে। কিন্তু তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অনাগ্রহের সুযোগ নিয়ে কানাডায় অবস্থান করছে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী নূর চৌধুরী।
১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এফআইআর হয় এবং এর বিচার সম্পূর্ণভাবে শেষ হয় ২০০৯ সালে।উক্ত গণজমায়েত ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট মশিউর মালেক, প্রধান বক্তা ছিলেন সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল হক এমপি, হোসনেযারা লুৎফা ডালিয়া- সাবেক এমপি, এডভোকেট আব্দুল খালেক, তোফাজ্জল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, হাজী শাহাবুদ্দিন,মোঃ শাহাজান ভূইয়া ,আবু তাহের, লুৎফর রহমান খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক- রফিক ফরাজি,যুগ্ম সম্পাদক আবুল খায়ের মোল্লা, হাসান মাসুদ মিলন,ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল আহসান , শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম কুমার দাস, নুরুল আমিন শাহীন,আরিফ আহমেদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক – ড. আবু তাহের, সাহিত্য সম্পাদক শাহানা জেসমিন, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শারমিন আক্তার ময়না, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রোকসানা খান,ক্রীড়া সম্পাদক টিপু সুলতান, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মহানগর শাখার সভাপতি- বেলাল শাহ,সহ সভাপতি এরফান আলী মাসুম,আরমান তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক -রাইসুর কবির দীপু সহ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মহানগর শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সহ জেলা শাখার, থানা শাখার নেতৃবৃন্দ, এবং বঙ্গবন্ধু ছাত্র ফাউন্ডেশন এর সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি থেকে উক্ত গণজমায়েত ও গণস্বাক্ষর কর্মসুচি সফল করেন।
বক্তারা বলেন এই আগষ্ট মাসে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনী নুর চৌধুরী কে দেশে ফেরত পাঠিয়ে তার ফাঁসি কার্যকর করা হোক। নয় যে কলঙ্ক রচনা করেছি নিজ হাতে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করে, দেশে ফেরত এনে ফাঁসী কার্যকর না করলে আমরা সমগ্র জাতি দায়মুক্ত হবো না।পিতার কাছে আমাদের অনেক ঋণ।আমরা কানাডিয়ান সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অনুরোধ করছি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীকে দেশে ফেরত দেয়া হোক।
উক্ত গণজমায়েত ও গণস্বাক্ষর সঞ্চালন করেন – রাশিদা হক কনিকা -যুগ্ম সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি ।