আবুল কালাম আজাদ,ঝিকরগাছা (যশোর)অফিস :
ঝিকরগাছার নিরীহ মোটরসাইকেল চালক নূর ইসলামের মূলআসামী এখনো ধরা পড়েনি। সোমবার জোহরবাদ বেদনাবিধূঁর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে তার লাশ কৃষ্ণনগরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে নিহতের নামাজের জানাজা কৃষ্ণনগর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) অধ্যাপক ডাঃ নাসির উদ্দিন ,সাবেক প্রতি মন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র মোস্তাফা আনোয়ার পাশা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, সাধারণ সম্পাদক মুসা মাহমুদ, যুবলীগ নেতা আজাহার আলী, রফিকুল ইসলাম বাপ্পী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজাসহ নেতৃবৃন্দ।
এঘটনায় নিহত নুর ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-১৪,তারিখ-১১.০৮.১৯ ইং। মামলার এজাহার ভুক্ত ১ নং আসামী ও মূলঘাতক উপজেলা গঙ্গানন্দপুর মাঠুয়াপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে রাসেল হোসেন (২২) এখনো ধরাছোয়া বাইরে রয়েছে। পুলিশের দাবী মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের মধ্যে ২জনকে আটক করা হয়েছে। মূলঘাতক রাসেলকে আটকের সর্বাত্তক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, নিহত নুর ইসলাম শুক্রবার রাতে ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ড থেকে মোটরসাইকেলসহ নিখোঁজ হয়। যাত্রীবেশী ঘাতকচক্র পরিকল্পিত ভাবে নুর ইসলামের ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলটি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভাড়া করে নিয়ে যায়। নিখোঁজের পর থেকে নুর ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেটটিও বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
অবশেষে ঘটনার ৩দিন পর হতভাগ্য নুর ইসলামের লাশ উপজেলার গঙ্গানন্দপুর মাঠুয়া পাড়া এলাকার একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ জেলহাজতে প্রেরণ করে। নিহত নুর ইসলামের মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।