একাত্তর নিউজ ডেস্ক ঃ
চামড়া শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে বকেয়া না পাওয়া পর্যন্ত আড়তদারদের কাঁচা চামড়া বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণার প্রেক্ষাপটে ঘনীভূত সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার বিকেল ৩টার পর মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে শুরু হওয়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন উপস্থিত রয়েছেন।
এবার কোরবানির দিন বিক্রি করতে না পেরে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা লাখখানেকের বেশি কাঁচা চামড়া ফেলে দেন। ওই দিনই কাঁচা চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করতে রপ্তানির সুযোগ দেওয়ার কথা জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এরপর সরকারের অনুরোধে ট্যানারি মালিকদের শনিবার থেকে কাঁচা চামড়া কেনার কথা থাকলেও হঠাৎ করে আড়তদাররা ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া ‘শত শত কোটি টাকা’র সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কাঁচা চামড়া বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ায় সঙ্কট নতুন মাত্রা পায়।
এমন প্রেক্ষাপটে রোববার চামড়া সংকটে সমাধানে বৈঠকে ট্যানারি মালিক ও আড়তদারসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠকের উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় তিনি বৈঠকে নেই।
বৈঠকের শুরুতে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, “২০ তারিখ থেকে চামড়া কেনার কথা বলেছিলেন ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশেন। ফরিয়া ও আড়তদারদের মধ্যে একটি গ্যাপ রয়েছে বলে ধারণা ছিল। মাঠ পর্যায়ে বলা হল চামড়া সংরক্ষণের জন্য। এ পরিস্থিতিতে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ক্রয়ের কথা বলে, তারা কিছু কিছু ক্রয় করেছে তবে তারা সেরকম ভাবে কিনেননি।
“ইতিমধ্যে চামড়া রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছি। এ পরিস্থিতিতে কি করা যায় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন,“এ বিষয়ে দায়দায়িত্ব এড়াতে পারি না। চামড়া শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, চামড়া শিল্প নীতি হচ্ছে। বর্তমানে যে বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে বৈঠক করা হবে। একটি স্থায়ী সমাধানে নিতে চাই।সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনাও চলছে। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
সালমান এফ রহমান বলেন, “আমরা আশাবাদী, খোলামেলা আলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান পাব। আমি মনে করি যে কথাটা শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, চামড়া শিল্প গার্মেন্টেসর পর গুরুদ্বপূর্ণ খাত। ভবিষ্যতে চামড়া শিল্পটা মেইন সেক্টর হিসেবে ডেভলপ করার চেষ্টা করা হবে।
“বর্তমানে যে সমস্যা তা কীভাবে সমাধান করা যায় এবং ভবিষ্যতে কী করা যায় বা আবার সম্মুখীন না হই তার সাজেশন নেওয়া হবে। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে।”