৬২ বছর আগের কথা। বেশ জাঁকজমক ভাবে ডরথি নামে এক নারীকে বিয়ে করেন ব্যারি ডসন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট রাজ্যের ওয়াটারবুরি শহরে বেশ সুখে শান্তিতেই দাম্পত্য জীবন পার করছিলেন এই দম্পতি। তারা ৬ সন্তানের জনক-জননীও হয়েছেন বহু আগেই। বৃদ্ধ ওই দম্পতির নাতি-নাতনিও রয়েছে ১৩ জন। সন্তান, নাতি-নাতনিরাও জানেন তাদের বাবা এবং দাদু বোবা-কালা। হটাৎ একদিন আচমকা সবাই জানতে পারলো, এতদিন বোবার অভিনয় করেছেন ব্যারি ডসন!
তিনি বোবাও নয়, কালাও নয়। ৬২ বছর ধরে বোবা আর কালা সেজে বসে আছেন বউ-এর কথা শুনতে হবে না বলে। এতগুলো বছরে একটা রা কাড়েননি বেরি ডওসন। উলটে কথা না-বলতে পারা বরের সঙ্গে কথোপকথন ছাড়াও কীভাবে ইঙ্গিতে-ইশারায় সবটা বোঝাতে হয়, তার সবটা শিখে নিয়েছিলেন স্ত্রী। অবশেষে অভিনয়ের তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে রেগে কাঁই হয়ে বউ গেলেন আদালতে, দাবি ডিভোর্স।
জানা যায়, এই পুরো অভিনয়টা তিনি নাকি শুধু বাড়িতেই করতেন। এটা ধরাও পড়ত না, যদি না একটি ইউটিউব ভিডিয়োতে দেখা যেত তিনি একটি ইভেন্টে গান করছেন এবং একটি মিটিং-এ সবার সঙ্গেই কমিউনিকেট করছেন! ডরথি বলেছেন, ‘আমি বাসায় থাকলে ব্যারি ডসন বোবা-কালার অভিনয় করে যেতেন। একটি ইউটিউব দেখে আমি এই বিষয়টি জানতে পেরেছি।
ইউটিউবে দেখা যায় যে, রাতে একটি বারে বন্ধুদের নিয়ে বাজনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যারি ডসন গানও গাচ্ছেন জলজ্যান্ত মানুষের মতো। তিনি একটি চ্যারিটি সভায়ও সবার সঙ্গে কমিউনিকেট করেন। এরপরই আমি সব বুঝতে পেরে যায়।’ এদিকে ব্যারি ডসনের আইনজীবী রবার্ট সানচেজ বলেন, ‘আমার ক্লায়েন্ট ব্যারি ডসন স্বল্পভাষী একজন মানুষ। অপরদিকে ডরথি হলেন একজন বাচাল টাইপের। ব্যারি যদি বোবা-কালা সেজে না থাকতেন তাহলে ৬২ বছর আগেই তাদের ডিভোর্স হয়ে যেতো। বোবা-কালা সেজে থাকার কারণেই তারা ৬২ বছর ধরে সংসার করতে পেরেছেন।’
ভালোবেসে বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করলেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী এবার প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন মারদিয়ানা নামে এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী। মারদিয়ানা ইন্দোনেশিয়ার পালু বোরাদ এলাকার কাহারুদ্দিন ও মোলি দম্পতির মেয়ে। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। মারদিয়ানার সঙ্গে ২০১৩ সালে ফেসবুকে পরিচয় হয় শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার লোনসিং গ্রামের মো. সেলিম খালাসীর সঙ্গে। পরে মারদিয়ানা ও সেলিমের মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এরই মধ্যে ২০১৬ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউপির চন্ডিবদ্দি গ্রামের কাজী এটিএম দাউদের ছেলে কাজী আহমাদুল হোসেন রাজনের সঙ্গে প্রথমে ফেসবুকে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব হয় মারদিয়ানার। পরে বন্ধুত্ব থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর সেই টানেই বাঙালি তরুণের কাছে ছুটে আসেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী মারদিয়ানা। মারদিয়ানার পাতানো ভাই সেলিম খালাসী বলেন, মারদিয়ানা আমাকে ধর্মের ভাই ডেকেছে। আমারা ভাই-বোন। সম্পর্কটা আমার পরিবারও মেনে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম পরিবারের সন্তান মারদিয়ানার সঙ্গে মাদারীপুরের রাজনের পরিচয় হয়। তিনি আমাদের দেশ ও কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে আমার কাছ থেকে জানেন। তাছাড়া রাজনের পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনে গত ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন মারদিয়ানা। ৩০ এপ্রিল ঢাকা কোতয়ালি কোর্ট হাউস স্ট্রিট বার ভবনে মারদিয়ানা-রাজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এক সপ্তাহ থেকে ইন্দোনেশিয়া চলে যান মারদিয়ানা। আবার ২১ আগস্ট রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন মারদিয়ানা। পরে বিকেলে তাকে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর নড়িয়া পৌরসভার লোনসিং নিয়ে আসি। ২৩ আগস্ট (শুক্রবার) সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমার বাড়ি নড়িয়া লোনসিং থেকে মারদিয়ানাকে রাজনের হাতে তুলে দেই।
অনুষ্ঠানে নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ, ওসি (তদন্ত) আবু বকর মিয়া, নড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম সরদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ি বলেন, প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী বাংলাদেশে চলে এসেছেন। নড়িয়াতে তাদের অনুষ্ঠানে এসে বেশ ভালো লাগলো। নড়িয়াতে এই প্রথম এমন অনুষ্ঠানে যোগ দিলাম। দোয়া করি তাদের বিবাহিত জীবন সুখের হোক। মারদিয়ানা জানান, রাজনের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। রাজনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানিয়ে এসেছেন। এ দেশের মানুষের আতিথেয়তায় ও ভালোবাসায় মুগ্ধ বলেও জানান মারদিয়ানা।