একাত্তর নিউজ ডেস্কঃ
হাইকোর্টের আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিন্নি বরগুনা জেলা কারাগার থেকে বের হয়েছেন।
মিন্নির পক্ষের আইনজীবী বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী আসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্টের আদেশে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জামিন পেয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশের কপি মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পৌঁছে। বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম এম জাহিদ হাসান বিকেল পৌনে ৪টার দিকে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিন্নি বরগুনা জেলা কারাগার থেকে বের হয়েছেন।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গত ১৬ জুলাই সকাল পৌনে ১০টায় বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। ওইদিনই রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরের দিন বিকেল সোয়া ৩টায় বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে মিন্নিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মাথায় ১৯ জুলাই পুনরায় আদালতে হাজির করে মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। ওইদিনই সন্ধ্যার পরে মিন্নিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়। মিন্নিকে আদালতে হাজির ও স্বীকারোক্তি নেয়ার সময় তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর কোনো আইনজীবীর সহায়তা পাননি। আইনজীবী না পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে চলে এলে অনেকেই মিন্নিকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসেন।
বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন না পেয়ে মিন্নির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে মিন্নি জামিন পেয়েছেন।
মিন্নির মুক্তির পর তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর জানিয়েছেন, তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তিনি আরো জানান, ষড়যন্ত্র করে তার মেয়েকে মামলার আসামি করা হয়েছে। তিনি ন্যায়বিচারের আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, তার মেয়ে নির্দোষ। রিফাত হত্যার দায় থেকেও মিন্নি মুক্তি পাবেন।
গত ২৬ জুন রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় মিন্নিসহ ২৪ জনকে দায়ী করে গত ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।