একাত্তর নিউজ ডেস্ক:
গত রোজার মাসে ছেলে বিয়ে করে। ছেলে পেশায় মিস্ত্রি। প্রায়ই দূরে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে যেতেন। এ সুযোগে পুত্রবধুকে একাধিকবার ধর্ষণ করতেন বলে আদালতে সোমবার সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিকের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আটক শ্বশুর আমির মিয়া (৫২) এসব কথা বলেন। আটক আমির মিয়া যশোর সদর উপজেলার সাড়াপোল গ্রামের লেদু মিয়ার ছেলে। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জবানবন্দিতে তিনি আরো জানান, তার ছেলে ইব্রাহিম প্রেম করে ভিকটিমকে বিয়ে করে। ছেলে বৌ ঘরে ও তারা বাইরে বাড়ান্দায় ঘুমাতেন। বিয়ের পর তার বৌমা বিভিন্ন সময় তার মোবাইল নিয়ে গেমস খেলতেন ও গান শুনতেন। এসব নিয়ে বৌমার সাথে বিভিন্ন কথা বার্তা হতো তার। ঈদের পরে একদিন রাতে বৌমাকে আসতে বলেন। রাতে বৌমা আসলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ভিকটিম
যশোরের জামরুলতলায় তার খালার বাড়িতে যায়। বৌমা ৩১ আগষ্ট তাকে খালার বাড়িতে যেতে বলে। পরে বৌমা তার খালাদের বিষয়টি জানিয়ে দেন বলে তিনি আদালতকে জানান। পুলিশ তাকে আটক করে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধু শ্বশুর, স্বামী ইব্রাহিম, শ্বাশুড়ী রহিমার বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ৩ মাস আগে সাড়াপোল এলাকার আমির মিয়ার ছেলে ইব্রাহিমের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় তার শ্বশুর জোড়পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে তিনি তার স্বামী ও শাশুড়িকে জানালেও কোনো সাড়া পাননি। পরে একদিন শ্বশুর বলেন তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক না রাখলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। কিন্তু প্রেম করে বিয়ের বিষয় মেয়ের পরিবারের কেউ মেনে নেইনি বলে তার যাবার কোনো জায়গা ছিলনা। এতে করে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আমির মিয়া।