একাত্তর নিউজ, ঢাকা :
শুভ জন্মদিন মাদার অফ হিউম্যানিটি, গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মদিনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে কেক কাটার মধ্য দিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠান হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি সহ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মহানগর শাখার এবং বিভিন্ন থানা শাখার উদ্যোগে সম্মিলিতভাবে ৭৩ তম জন্মদিন পালন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।সভাপতিত্ব করেন – এডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কার্যকরী কমিটি,
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট মশিউর মালেক।
২৮ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন আজ । এই মহীয়সী নারী জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৪৭ সালের আজকের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন আজ। তিনি আর কেউ নন,তিনি জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বড় সন্তান। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জনকারী শেখ হাসিনা তৎকালীন ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা ছিলেন।
১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এরপর থেকে ৩৬ বছর ধরে নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। তার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও অন্য রাজনৈতিক জোট-দলগুলো ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিজয়ী হয়।
#শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ এই পর্যন্ত চার মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়েছে। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে চার-তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় এবং ২০১৮ এর নির্বাচনে বিজয়ের পর টানা তৃতীয় মেয়াদের তার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছে।
গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায়ও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ১৯৯৬-২০০১ সালে তার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি তার সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বর্তমানে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ও মধ্যম আয়ের আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে নিয়োজিত আছে।
এই অঞ্চলে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী শিক্ষার বিস্তার, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস ও দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রামে অসামান্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে সাউথ-সাউথ ভিশনারি পুরস্কার-২০১৪, শান্তি বৃক্ষ-২০১৪, জাতিসংঘ পুরস্কার-২০১৩ ও ২০১০, রোটারি শান্তি পুরস্কার-২০১৩, গোভি পুরস্কার-২০১২, সাউথ-সাউথ পুরস্কার-২০১১, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার-২০১০, পার্ল এস. বার্ক পুরস্কার-২০০০, সিইআরইএস মেডাল-১৯৯৯, এম কে গান্ধী পুরস্কার-১৯৯৮, মাদার তেরেসা শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮, ইউনেস্কোর ফেলিক্স হোফুয়েট-বোয়েগনি শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, পরিবেশ সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল হক এমপি, যুগ্ম সম্পাদক আবুল খায়ের মোল্লা, রাশিদা হক কনিকা, রফিক ফরাজি, সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম কুমার দাস, প্রচার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাকীল খান, সহ- যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার কাফিল উদ্দিন, মহানগর শাখার সভাপতি বেলাল শাহ, সাধারণ সম্পাদক রাইসুল কবির দীপু, মতিঝিল থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন শাহীন ও রাশিদা হক কনিকা
যুগ্ম সম্পাদক বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি