একাত্তর নিউজ, যশোর অফিস : যশোর সদর উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের এক গৃহবধুকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আসামি এখনো আটক হয়নি।
সদর উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম (৫৫) কোতয়ালি থানায় দায়ের করা এজাহারে বলেছেন, একই গ্রামের মৃত উজির মোড়লের ছেলে আলী মোড়লের (৫৫) স্বভাব চরিত্র ভাল না। সে একজন জুয়াড়ি ও মদ খোর। আলী বিভিন্ন ভাবে মঞ্জুয়ারাকে উত্তক্ত করতো ও কুপ্রস্তাব দিত। আলীর কথায় রাজি না হওয়ায় মঞ্জুয়ায়কে ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা দেড়টায় রান্নাবান্না শেষে মঞ্জুয়ারার শরীর খারাপ লাগায় বসত ঘরের মধ্যে শুয়ে থাকে। আলী মোড়ল তার ঘরের বারান্দায় এসে বসে। আলী মোড়লের গতি বিধি খারাপ দেখায় মঞ্জুয়ারা তাকে বারান্দা থেকে নেমে যেতে বলে। এসময় বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় সুযোগ বুঝে আলী মোড়ল ঘরের মধ্যে ঢুকে মঞ্জুয়ারাকে অসৎ উদ্দেশ্যে খাটের উপর জাপটে ধরে। মঞ্জুয়ারা আলী মোড়লকে ঝাড়া মেরে খাটের উপর থেকে নীচে ফেলে দেয়। পুনরায় উঠে এসে আলী মোড়ল মঞ্জুয়ারা জাপটে ধরে বুকের উপর উঠে স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। আমি চিৎকার করতে গেলে বলে চিৎকার করলে জবাই করে দেবো। মঞ্জুয়ারা আলী মোড়লকে তার গায়ের উপর থেকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে উজ্জত রক্ষা করে। ধস্তা ধস্তির এক পর্যায়ে মঞ্জুয়ারার জ্যা জোহরা বেগম এগিয়ে গেলে আলী মোড়ল মঞ্জুয়ারাকে ছেড়ে দিয়ে বলে এবিষয়ে কাউকে কোন কিছু বললে জীবনে শেষ করে ফেলবো হুমকি দিয়ে চলে যায়।
বিষয়টি নিয়ে মঞ্জুয়ারা পরিবারের সবার সাথে পরামর্শ করে শনিবার কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। আসামি আলী মোড়ল পলাতক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই গোলাম মোর্তজা জানান, আসামি আটকের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই আসামিকে আটক করা হবে।