যশোর অফিস থেকে, জি এম অভি : যশোরে নজরুল হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী আব্দুর রহমানকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত আব্দুর রহমান শহরের বারান্দীমোল্যা পাড়ার মৃত হবিবর রহমানের ছেলে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মোল্যাপাড়ার বাঁশতলার রহিমের দোকানের সামনে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে।
নিহত আব্দুর রহমানের মেয়ে ফাহমিদা রুবি জানান, তার বাবা শনিবার সকালে ব্যবসার কাজে বাসা থেকে বের হন। এরপর বাঁশতলা নামক স্থানে পৌঁছালে প্রতিবেশী নিজাম বিশ্বাসের ছেলে মেঠে কুদ্দুস, আকরাম, বাদল, ফারুক, নুর আলম, শাহআলম তার সাইকেলসহ ঝাপটে ধরে। এর মধ্যে আকরাম পেরেক উঠানো শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তিনি পড়ে গেলে অন্যরা কুপিয়ে জখম করে।
স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহমেদ তারেক সামস আব্দুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৩ সালে ৩০ অক্টোবর যশোর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও টায়ার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম খুন হন। এ হত্যা মামলার এক নম্বর স্বাক্ষী ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান। আর এ মামলার আসামি নিজাম বিশ্বাসের ছয় ছেলে। ইতঃপূর্বে নজরুল হত্যায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে তারা আব্দুর রহমানকে হুমকি দেয়। এর ফলে আব্দুর রহমানকে হত্যা করা হতে পারে বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, নিজাম বিশ্বাসের ছেলে মেঠে কুদ্দুস, আকরাম, বাদল, ফারুক, নুর আলম, শাহ আলমের বিরুদ্ধে জিয়া, রিপন হত্যা, ডাকাতি, বিস্ফোরকসহ সাতটি মামলা রয়েছে।
আব্দুর রহমান হত্যার পর কোতয়ালী থানার ওসি মনিরুজ্জামানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা হত্যায় ব্যবহৃত পেরেক উঠানো শাবল জব্দ করেছে।
কোতয়ালী থানার এসআই শাহিনুর রহমান সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে বলেছেন, আব্দুর রহমানের মাথায়, মুখে, পিঠে, হাতে ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, আব্দুর রহমান হত্যাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।