নিজস্ব প্রতিবেদক : মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলার মুক্তিযোদ্ধারা আগামী ১৭ জানুয়ারি যশোর সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য দেওয়া হবে হেলথ কার্ড। বুধবার সকালে জেলার নবাগত সিভিল সার্জন আবু শাহীন তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান।
এ সময় তিনি আরও বলেন বর্তমানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য বেনাপোল স্থল বন্দরে থার্মাল স্ক্যানার থাকলেও সেটির টিউব নষ্ঠ রয়েছে। ফলে ভারতগামী ও বাংলাদেশে আগত বিদেশী নাগরীকদের বিকল্প হ্যান্ড থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপ মেশিন দিয়ে যাত্রীদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত আটদিনে(২৯জানুয়ারি থেকে পাঁচ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বন্দরে ট্রাক চালক ও শ্রমিকসহ ২৩হাজার ৪৭৬জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন চিনা নাগরিক ও এ ভাইরাসে আক্রান্ত কোন যাত্রী পাওয়া যায়নি বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে জেলার অভয়নগর, মণিরামপুর এবং শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গাইনী বিশেষজ্ঞ না থাকায় এই তিন প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ সিজারিয়ান বন্ধ রয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে সপ্তাহে একদিন ঐ প্রতিষ্ঠানে সিজারিয়া ব্যবস্থা চালু করা হবে।
ইতিমধ্যে অফিসিয়াল চিঠি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের উদেশ্যে তিনি আরও বলেন নতুন হিসাবে অনেক বিষয় অজানা রয়েছে। ফলে বিগত সিভিল সার্জন যে কার্যক্রম রেখে গিয়েছেন সে কাজ গুলো দ্রুত তরান্বিত করা হবে।
যশোর জেলা হাসপাতাল বাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোকে মোট ২০৭ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ আছে । এর মধ্যে ৪৭টি পদ শূন্য রয়েছে। এই শূন্য পদগুলো নতুন পদায়ন পাওয়া চিকিৎসক দিয়ে পূরণ করা হয়েছে।
কিন্তু স্বাস্থ্য নীতির কারনে দু’বছর আগে যে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তারা ডেপুটিশনে ও পদন্নতী নিয়ে বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছেন। ফলে ওই ৪৭টি পদ্য শূন্য থেকে যাচ্ছে। এই পদ গুলো অচিরে বিকল্প ভাবে পূরণ করা হবে।
এ বাদেও উন্নত স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মাঝে পৌছে দিতে যে পদক্ষে নেওয়ার প্রয়োজন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ জন্য সাংবাদিকসহ জেলার মানুষের সহযোগীতা চেয়েছেন নবাগত সিভিল সার্জন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন প্রতিভা ঘরায়, সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ গিয়াস উদ্দীন, মেডিকেল অফিসার ও স্বাস্থ্য কো-অডিনেটর ডা. মাশহুরুল হক।