মো:আসাদুজ্জামান শাওন,নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাবা নূর ইসলাম। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর উপজেলার নন্নী গ্রামে তাদের বসবাস। এলাকায় ভ্যানের প্যাডেল মেরে মেরে ৫ সদস্যের সংসার চালায় বাবা নূর ইসলাম ।
কোমরের হাড় ক্ষয় নিয়ে জীবনভর যুদ্ধ করেই সংসার চালাচ্ছেন নুর ইসলাম ও সাহায্য নিয়ে মেয়ে নাসিমা খাতুনকে ভর্তি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে সন্মান দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত নাসিমা। এই নাসিমার জীবনের স্পন্দন এখন নিভে যেতে বসেছে।
সাথে নিঃস্ব অসহায় ভ্যান চালক বাবার স্বপ্নও এখন নিভতে শুরু করেছে ।চিকিৎসার অর্থ নেই, পথ দেখানোর মানুষ নেই, করোনা ভাইরাসের জন্য বের হওয়াটায় দূস্কর তবুও কষ্ট করেই পরিবারটিকে সামলিয়ে রেখেছেন বাবা এর মাঝেই হঠাৎ কলিজার টুকরা নাছিমার এই অবস্থা, সব মিলিয়ে চোখে পথ দেখছে না পরিবারটি। মঙ্গলবার বিকালে পড়াশোনার কোন এক ফাঁকে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে নাসিমা। আনা হয় সদর হাসপাতালে ।
সংকটাপন্ন অবস্থায় রাতেই নেওয়া হয় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ধরা পড়ে নাসিমার ব্রেইন স্টোক হয়েছে। চিকিৎসা করতে হবে ঢাকার নিউরো সাইন্সে। কে করাবে এই ভ্যানচালক বাবার মেয়ের চিকিৎসা, যার ভ্যান চালিয়ে চলে সংসার সে কি আর চেনে চিকিৎসার শহর ঢাকা।শাহিনের গাইডেই অতি সংকটাপন্ন নাসিমাকে এ্যাম্বুলেন্সে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় নিউরোসাইন্সে আনা হয়। নাসিমার ৫ তম দিন পার হলেও জ্ঞান ফিরেনি, সাত দিন পার হয়ে গেলে হয়তো ছেড়ে দিতে হতে পারে বাচার আশা। নিভে যেতে পারে ভ্যানচালক বাবার স্বপ্ন। সে মানবিক বিভাগ থেকে মাধ্যমিকে
এ+, আর শেরপুর মডেল গার্লস কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকেও এ+ পেয়েছে। ছোট বোন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে। ভাইটি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। পরিবারটি যেন এক মেধার স্বর্গরাজ্য।কোমারের ব্যথা নিয়ে প্রতিদিন ভ্যান চালায় আর বড় মেয়ে মেধাবি নাসিমাকে নিয়েই স্বপ্ন বুনে বাবা। প্রকৃতির খেয়ালে বাবার স্বপ্ন নাসিমা এখন কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে। বাবা শুধু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। মেয়ে না বাঁচলে আমিও বাঁচবো না স্যার। ডপস পরিচালক শাহীন মিয়ার গাইডলাইন এখন পর্যন্ত ঢাকার হাসপাতলে নাসিমা তাই শাহিনকে ফোন করার সাথে সাথেই নির্বাক হয়ে পড়ে বাবা নূর ইসলাম কোন কথাই বলতে পারেনা সে। নাসিমার মা ভাই বোনের চিৎকারে এলাকার মানুষ চোখর পানি ধরে রাখতে পাচ্ছে না। নাসিমার পড়াশুনায় সহযোগতিায় করেছে বেসরকারি সংগঠন ডপস যার একান্ত সহযোগিতা এবং সঠিক গাইডলাইন এই নাসিমার অবস্থান বিশ্ববিদ্যালযে় তাছাড়াও গাইডলাইনে পুরোপুরি নির্ভর পরিবারটি এখন শাহীনের উপর। বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকারই প্রয়জন।বৃত্তবানরা ইচ্ছা করলে নাসিমার পাশে দাড়াতে পারেন। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন- ০১৭২৮০৯৭৯৬৭(শাহীন মিয়া বিএসপি, পরিচালক ডপস)