যশোরে বঙ্গবন্ধু ছাত্রপরিষদের সাধারণ সম্পাদকের হত্যার বিচারের দাবিতে মিছিল-71News24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

নিজস্ব প্রতিবেদক, একাত্তর নিউজ২৪:   

জেলা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসেল হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ও হত্যাকারিদের বিচারের দাবিতে যশোর শহরে লাশ নিয়ে মিছিল হয়েছে।

 

২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে লাশ নিয়ে শহরে মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম।

 

 

 

মিছিলে অংশ নেয় এলাকাবাসিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিন করে হাসপাতালে এসে শেষ হয়। এর আগে কালেকটরেট র্পাকের সামনে দড়াটানা ভৈরব চত্বরের দক্ষিন পাশে পাকা রাস্তার উপর সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাহারুল ইসলাম।

 

মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় পূর্বশত্রতার জের ধরে গত বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাতে যশোর সদরের ভেকুটিয়া গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে রাসেল (২৭) ও ভাই আল আমিনকে (২৫) কুপিয়ে জখম করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে রাসেল মারা যায়। ভাই আল আমিনকে গুরুত্বর অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আল আমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই রাতেই ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। হতাহতরা উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের আব্দুল সালেকের ছেলে।

 

বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে ওই গ্রামের শ্মশান পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। হতাহতরা আপন দুই ভাই। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

হতাহতদের পিতা আব্দুল সালেক জানান, তিনিসহ দুই ছেলে বুধবার রাতে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শামিনুর ও পিচ্চি বাবু দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। বাইক আস্তে চালাতে বলায় তারা দাঁড়িয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘন্টা খানিক পর লোকজন নিয়ে এসে রাসেল ও আল আমিনকে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। হামলাকারিরা সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুজ্জামান শহীদের অনুসারী বলে সালেক দাবি করেন। এরা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। রাসেল বিভিন্ন সময় এর প্রতিবাদ করে। এতে হামলাকারিরা রাসেলের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। মোটরসাইকেল আস্তে চালাতে বলার সূত্র ধরে বুধবার রাতে স্থানীয় পিচ্চি বাবু, শামিনুর, সোহাগসহ আরো ১০-১২ জন দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাসেল মারা যায়। আল আমিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।

 

তিনি আরো জানান, মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই চক্রটি এর আগে ২০১৯ সালের ১২ জুন রাসেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে বোমা হামলা চালায়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি।

Please follow and like us: