একাত্তর ডেস্ক : তারুন্যের অহংকার জনপ্রিয় ও পরিছন্ন নেতা এড. বশির আহম্মেদ খানকে মণিরামপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাই। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর হয়ে গেলো একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই নির্বাচন কুঠিরের দরজার কড়া নাড়ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ২০১৯ সালের মার্চের প্রথম দিকেই শুরু হবে এ নির্বাচন এবং তার পূর্বেই তফসীল ঘোষনা ফেব্রুয়ারীর প্রথম দিকেই। সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের জোটের চরম ভরাডুবিতে যেমন কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা হতাসায় ভেঙ্গে পড়েছেন-তেমনি আওয়ামীলীগ ও তাদের জোটের নিরঙ্কুষ জয়লাভের পর আনন্দের সাথে-সাথে অতি উৎসাহী হয়ে স্থানীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের ত্যাগী, নিবেদিত প্রাণ, দূঃসময়ের কান্ডারীদের সাথে সমান তালে পাল্লা দিয়ে সুযোগ সন্ধানী আর বর্ণচোরা রাও প্রার্থী হবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। নির্বাচনের ক্ষণটি যতই নিকটবর্তী হচ্ছে সম্ভব্য প্রার্থীদের সাথে সাথে ভোটারদের মাঝেও কৌতুহল, আলোচনা-সমালোচনার পরিধিটাও দিন-দিন ততটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সংবাদ কর্মীদের জরিপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা মণিরামপুরের এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রবীণদের সাথে সাথে একঝাক তরুণ তাদের তারুন্যের ঝঁলকানী নিয়ে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ), ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় তাদের অবস্থানের কথা জানান দিচ্ছেন। এসব তরুণ নেতৃবৃন্দ আশা করছেন-জাতীয় নির্বাচনে যেমন সংসদ সদস্য মনোনয়নে তরুণ প্রার্থীদের সুযোগ দেয়া হয়েছে, মন্ত্রীত্বের মত গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বটাও অনেকের কাঁধে তুলে দেয়া হয়েছে, সর্বত্র তারুন্যের জয়জয়কর হয়েছে-তেমনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এ ধারা অব্যহত থাকবে।
বিএনপি ও তাদের মিত্রদের মণিরামপুরে এ নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় করতে দেখা না গেলেও-আওয়ামী ঘরানার রয়েছে একটি বৃহৎ প্রার্থীতার তালিকা। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি চেয়ারম্যান তালিকার মধ্যে আলোচনা শীর্ষে আছেন সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরুণ আইনজীবি এড. বশির আহম্মেদ খান।
চেয়ারম্যান পদের বৃহৎ এ তালিকার মধ্যে তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা এড বশির আহম্মেদ খান শুধু বয়সের মাপেই তরুনই নয়-তিনি একজন পরিছন্ন, পরিমার্জিত, অনুশীলিত ও পরিক্ষীত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন আদর্শবান রাজনৈতিক ব্যক্তি। এই অনুশীলন প্রমাণ রেখেছেন রাজনীতি চর্চায় তৃণমূল থেকে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও গুরুত্বপূর্ণ পদপদবী। তিনি বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্ভব্য কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কোন না কোন পদে যেমন থাকছেন-তেমনি অতীতে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব সফলভাবে পালন করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। বর্তমানে উপজেলা রাজনীতিতে তিনি একজন বহুল পরিচিত ও জনপ্রিয় মূখ। রাজনীতির বাইরে সাধারণ মানুষের কাছে একজন সৎ চরিত্রবাণ ব্যক্তি হিসেবে সমাধিক ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। এছাড়া আচরণগত ভদ্রতা ও নম্রতার কারণে তিনি সকল রাজনৈতিক দল, ধনী-দরিদ্র, ছোট-বড়, সকল শ্রেণির মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। যুব সমাজের কাছেও তিনি প্রিয় মুখ ও আদর্শের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। নির্বাচন কেন করতে চান? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আমি আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান, আমি মণিরামপুর আপমর জনগণের পাশে সর্বক্ষনিক থাকতে চাই, আমার প্রিয় মণিরামপুর বাসির জন্য কিছু করতে চাই। অসহায়, গরীব ও দূঃখী মানুষের পাশে দাড়াতে চাই। মণিরামপুরের জনগণ আমার সাহস, আমার শক্তি, আর তারাই আমাকে উৎসাহ দিচ্ছেন নির্বাচন করতে। তাই আমি সেই জনগণের ইচ্ছা পূরণ করতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। আমার দল- আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো এবং ইনসাল্লাহ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো। সাধারণ ভোটাদের ধারনা সর্বদিক বিবেচনা করে যদি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারুন্যের অহংকার এ্যাড. বশির আহম্মেদ খানকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন দিলে জয় নিশ্চিত হবে। তাকে নিয়ে ভোটারদের মাঝে চায়ের দোকানথেকে শুরু করে তরুন ভোটারদের মাঝে আলোচনা চলছে তুলনামুলক ভাবে খুব বেশিই।
তারুন্যের অহংকার এড.বশির খানকে মনিরামপুরবাসি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে চাই।
Please follow and like us: