কুয়াদায় মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ,হুমকি অব্যাহত

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

ইমরান হোসেন মিলন,স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের কুয়াদায় মারপিটের ঘটনায় রেবেকা খাতুন (৪০) বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ২/৩ অজ্ঞাতনামা করে কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তারা হলেন, সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কুয়াদা বাজার সংলগ্ন বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের
মৃত শামসের ফকিরের ছেলে
১ নং আলী ওরফে আলে (৪৫), তার ছেলে ২ নং রাসেল (৩৫) ও ৩ নং শরিফুল (২৮), মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে ৪ নং আঃ গফ্ফার (৪৫), ৫ নং শফি ওরফে জামাই শফি (৪০)সহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জন।
এ ঘটনায় বাদীপক্ষকে বিবাদীগণ বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কুয়াদা বাজার সংলগ্ন কামালপুর-খরিচাডাঙ্গা রোডে বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামে বকার ছেলে আলী হোসেনের পরিবারের সাথে দির্ঘদীন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত শত্রুতা ও দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এবং বাদিপক্ষের মেয়ে কুলসুম খাতুনকে (২৫) বিবাদীগণের মধ্যে ৪ নং আসামি বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে। শুধু তাই নয়, ২ নং ও ৪ নং আসামি প্রায় রাতে বাদিপক্ষের বাড়ির আশে পাশে সন্দেহ জনকভাবে ঘোরা ফেরা করে। তারা যে কোন সময় জোর করে কুলসুম খাতুনকে বড় ধরনের ক্ষতি করার ষড়যন্তে লিপ্ত রয়েছে বলে বাদিপক্ষ জানিয়েছন। এ বিষয়ে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
বাদি রেবেকা বলেন, এরই জের ধরে গত ১৭-০৭-২০ ইং সকাল আনুমানিক ৭ টার সময় আমার স্বামি বাড়ি হতে কুয়াদা বাজারে যাওয়ার সময় আসামিদের বাড়ির সামনে পৌছালে আসামিরা পূর্ব শত্রুতার কারণে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাযোসে আসামিরা হাতে লোহার রড,বাশের লাঠি,রামদাসহ আমার স্বামীর পথের গতিরোধ করে ২ ও ৩ নং বিবাদী আমার স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায়,বাম হাতে, বুকে কপালে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। তখন আমার ছেলে গোলাম রসুল (২৬) ঠেকাতে গেলে ১ ও ২ নং আসামি মেহগনির ডাল ও বাশ দিয়ে তার মাথায়, বুকে,কপালে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে রক্তজমা নিলা ফুলা জখম করে। তখন আমি ও আমার মেয়ে কুলসুম খাতুন ঠেকাইতে আসলে২ ও ৫ নং আসামি তাদের সহযোগিদের সহাতায় লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে আহত করে। আমার পরনের কাপড় চোপড় ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতার হানি ঘটায়।
বাদি অভিযোগে আরো বলেন,
১ নং আসামি আমার মেয়েকে জোর করে ধরে বাড়ির মধ্যে নিয়ে তার পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতার হানি ঘটায়, তখন আমার মেয়ের ডাকচিৎকারে আসামি আমার মেয়ের বাম হাতের শাহাদত আংগুলে কামড় দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তার গলায় থাকা ০৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন যার মুল্য আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার ব্যাগে থাকা নগদ, ২ হাজার টাকা ২ নং আসামি কেড়ে নেয়। তখন আমার শ্বাশুড়ি হায়রা বেগম (৫০) ঠেকাতে গেলে ৩ নং আসামি বাশের লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে জখম করে। তখন আমার আর্তচিৎকারে এলাকাবাসিরা ঘটনাস্থলে আসলে বিবাদীগণ প্রকাশ্যে আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তখন এলাকাবাসির সহযোগিতায় আমরা আহত ৫ জন যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। উল্লেখ্য,অভিযোগের ৪ নং আসামি আঃ গফ্ফার এর বিরুদ্ধে এর আগে ও একাধিক নারী কেলেংকারীর বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় সে লম্পট গফ্ফার নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত।
এ ঘটনায় বাদিপক্ষ চরমভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে এলাকার সচেতনমহল ও বাদিপক্ষ দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

Please follow and like us: