যশোরের বসুন্দিয়ার মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক সীলগালা,ডাঃ খলিলের ৬ মাসের কারাদন্ড-71news24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

একাত্তর নিউজ, বসুন্দিয়া প্রতিনিধি : যশোর জেলার সদর উপজেলার বসুন্দিয়ায় অবস্থিত বহুল আলোচিত মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিকে   আজ মঙ্গলবার ২১ জুলাই বেলা ৪টায় আকষ্মিক অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি চৌকস টীম। এসময় ক্লিনিকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে নাা পারাা, পর্যাপ্ত পরিমান সরঞ্জামের অভাব, পর্যাপ্ত বেডের অভাব, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ মজুদ রাখা, চিকিৎসক, ল্যাব টেকনিশিয়ান ও নার্স না থাকার কারণে ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কথিত ডাঃ খলিলুর রহমানকে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

২০১০ সালে বসুন্দিয়া মোড়ে এই ক্লিনিকটি গড়ে উঠলেও উত্তরোত্তর উন্নতি হয়নি চিকিৎসা সেবার। কয়েকবার স্থান ও ভবন পরিবর্তন করে চিকিৎসার নামে ব্যাবসাকে মজবুত করতে বিভিন্ন অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন কথিত ডাক্তার খলিলুর রহমান। ইতিপূর্বেও তাকে একাধিকবার আটক ও ক্লিনিকটি সিলগালা করা হলেও স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যক্তির প্রচেষ্টায় তিনি আইনের হাত থেকে বেরিয়ে এসে তার ব্যবসা চালিয়ে আসছেন নির্বিঘ্নে।  সরেজমিনে ক্লিনিকে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, এখানে চিকিৎসা উপযোগী পর্যাপ্ত কোন সরঞ্জাম নেই। সার্বক্ষনিক কোন চিকিৎসক পাওয়া যায় না। নেই ল্যাব টেকনিশিয়ান। নেই প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই। ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, প্রকৃত চিকিৎসক না এনে তিনি নিজেই যাবতীয় চিকিৎসা ও অস্ত্রপাচার করেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এলাকার সচেতন মহলের মতে, স্থানীয় কেউ তাকে ক্লিনিক করার মতো উপযুক্ত ভবন ভাড়া না দিলে তিনি এমনিতেই তার ব্যবসা গুটিয়ে নিবেন। এক্ষেত্রে ঐ ক্লিনিক ভবনের মালিকও অনেকটা দায়ী বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।

 

যশোরের এসি ল্যান্ড সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাকির হোসেন, ডাঃ গুলশানা রহমান, ডাঃ ফিরোজ মাহমুদ, পেশকার নাজমুল ইসলাম, কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মোঃ শাহজুল ইসলাম অভিযানটি পরিচালনা করেন। এসময় বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল, ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় বিভিন্ন সচেতন মহলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us: