নাজিম,বসুন্দিয়া,যশোরঃ গতকাল ২৩ এপ্রিল,বিশ্ব বই দিবস।ঢাকার ধানমন্ডির রাতের একটি পবিত্র ছবি সে কথায় বাস্তবে দেখালো।সভ্যতা কত নিচু স্তরে পৌছালে চকলেট দিবস,কিস দিবস,ভালবাসা দিবসের মত বেহায়া নাম দিয়ে শুভেচ্ছা এবং ফুলের মত পবিত্র সৃস্টির লেনদেন হতে পারে অথচ পৃথিবির শ্রেষ্ঠ বস্তু বই অথচ দিবস টি সম্পর্কে আমরা জানিও না।
জ্ঞানের প্রধান বাহন বই।মহান আল্লাহ তার প্রিয় নবীর উপর প্রথম কথাটি প্রেরন করেছিলেন-‘পড়’,পড় তোমার প্রভুর নামে।বিদ্যার্জনে দূরে গমন ও পরিশ্রমের কথা ইসলাম ধর্মে স্পষ্ঠ উল্লেখ্য আছে। বই পড়া মহামুল্যবান অভ্যাস।যে কোনো বয়সে বই পড়তে হবে।তবে ছাত্র জীবন বই পড়ার শ্রেষ্ঠ সময়।এই জন্য বলা হয়েছে “ শিক্ষাকাল দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত”।
আজ ফেসবুকে বিশ্ব বই দিবসের কোনো শুভেচ্ছা দেয়া নেয়া হচ্ছে না।নেই কোনো ডেটিং বা গিফট আদান প্রদান।আজকের প্রজন্ম বিপথে। ওরা রেল লাইনে বসে সিগারেট,চা আর গেম খেলা বা ফেসবুকে ক্ষতিকর অ্যাপ্সে মত্ত।কে এদের বোঝাবে যে বইয়ের একটি শব্দ মানে একটি নতুন জ্ঞান।বইয়ের একটি লাইন হতে পারে জীবন চলার পথে সুন্দর কোনো রাস্তা।বইয়ে পাওয়া যায় মনীষিদের কথা যা আমাদের জীবন বদলে দেয়।সাধারন মানুষ আসাধারন হয় কোনো মহৎ ব্যাক্তির জীবন আনুসরন করে।বই আমাদের দিতে পারে মানুষ হবার ব্যাখা। আমাদের জীবনের লক্ষ্য,উদ্দেশ্য,দায়িত্ব কর্তব্য,ন্যায় নীতি,ভাল মন্দ সকল বিষয় সম্পর্কে বই আমাদের শেখাতে পারে।
ধর্ম,সমাজ,দেশ,রাজনিতি,অর্থনিতি জানতে বুঝতে বইয়ের কাছে যেতে হবে। আজকের সমাজ এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় না বলে সমাজের এই বেহালদশা।জ্ঞানীর কদর নেই।সম্মানীর সম্মান নেই।আশিক্ষিতের দাপটে শিক্ষিত মানুষ কোনঠাসা। বে-আইনের কাছে নাকি আইন জব্দ।
বই পড়ুন।বই উপহার দিন।বই পুরস্কার দিন। খেলনা হিসাবে বাচচাদের বই দিন।হালখাতায় বই দিন।বিবাহে বই দিন।আলমারীতে,শোকেজে,টেবিলে,ডাইনিং টেবিলে বই রাখুন।বাড়িতে শোবার বিছায়ার বালিশের পাশে বই রাখুন।মোটকথা বইয়ের বেস্টনীতে থাকুন।যখন সুযোগ পান দু এক লাইন পড়ুন,জানুন এবং মানুন।