শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ শার্শা উপজেলার চালিতাবাড়ীয়া-দীঘা গ্রামে ঈদে সন্তানদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে না পেরে ও সাংসারিক অভাব অনাটনের দায় এড়াতে এক গর্ভধারিনী মা কন্যা শরিফা খাতুন (১১) শিশুপুত্র সোহান হোসেন (৪) কে কীটনাশক বিষ ট্যাবলেট খাওয়ায়ে নির্মম ভাবে মেরে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে মা হামিদা খাতুন (৩৫) নিজেও বিষ ট্যাবলেট খেয়ে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিলেন।
মর্মান্তিক ও হৃদয়স্পর্শি ঘটনাটি ঘটেছে শার্শার চালিতাবাড়ীয়া দীঘা গ্রামে রবিবার রাত আনুমানিক ১১টার সময়।
মৃত্যুর স্বীকার ৩ জনই হলেন ঐ গ্রামের হতদরিদ্র চা দোকানী ইব্রাহিমের স্ত্রী, কন্যা ও শিশু পুত্র।
তাৎক্ষনিক পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে
জানা যায়, হত দারিদ্রতার কারনে সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়।ফলে অভাব অনটন লেগে থাকার পাশাপাশি গন্ডোগোল ঝামেলা লেগেই আছে সংসারে।
তার কদিন পরেই আসছে পবিত্র ঈদ। ফলে আসন্ন ঈদে সন্তানদের নতুন জামা কাপড় কেনাকাটা সহ সাংসারিক অভাব অনাটনের নানা বিষয় নিয়ে রবিবার রাত আনুমানিক ১০টায় দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল গন্ডো গোল ঝামেলা ও তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে এসময় স্ত্রী হামিদা খাতুন নিজের কন্যা শরিফা ও শিশু পুত্র সোহানকে বিষ ট্যাবলেট খাওয়ায়ে মেরে ফেলে। এর পরপরই তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে সে নিজেও বিষ ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে সংসারের করুন যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিলেন।
এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। #