মোঃ মেহেদী হাসান : মণিরামপুরে এইচএসসি পরীার্থী ইকলাস হত্যা মামলার প্রধান আসামি মৃদুল হোসেন আদালতে অত্মসমপর্ণ করেছে। রোববার দুপুরে যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে সে আত্মসমর্পণ করে। হত্যাকা-ের পর থেকে মৃদুল পলাতক ছিল। মৃদুল উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।
পলাশী কলেজ থেকে এবার তার এইচএসসি পরীা দেওয়ার কথা। ইকলাস হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খাইরুল সোমবার আদালতে মৃদুলের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করবেন। মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃদুল রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। আজ তার রিমান্ড আবেদন করা হবে। প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ১৭ মার্চ মঙ্গলবার সকালে প্রাইভেট পড়তে এসে পলাশী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে খুন হয় ইকলাস। হত্যাকা-ের পুরো ঘটনাটি ওই বিদ্যালয়ের কোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ঘটনার দিন বিকেলে মৃদুলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন ইকলাসের নানা আইয়ার আলী। মৃদুল তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ পলাশী মোড়-সংলগ্ন জামে মসজিদের পাশে ফেলে রেখে যায় বলে এজহারে উল্লেখ করেন বাদী। গত বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) মৃদুলের ফাঁসির দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজগেটে মানববন্ধন করেন ইকলাসের সহপাঠী ও স্বজনরা। ইকলাস বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে। পাঁচ বছর বয়স থেকে সে যশোর সদরের রূদ্রপুর গ্রামে নানা আইয়ার আলীর বাড়িতে থাকতো। সে মুক্তিযোদ্ধা কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।