কামাল হোসেন, একাত্তর নিউজ ২৪:
কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় ১৭ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১২:২০ মিনিটে ঢাকার শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিংশ শতাব্দীর ষাট ও সত্তরের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের নায়িকা, চিত্র পরিচালক, রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত
সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য (২০০৮-২০১৩)
সারাহ বেগম কবরী ওরফে কবরী সারোয়ার (৭১)
মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে গত ১৬এপ্রিল।
কবরীর ফুসফুসের অবস্থা ভালো নয় বলে জানিয়েছেন শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ফারুক আহমেদ।
এদিন বিকেলে অভিনেত্রীর ছেলে শাকের চিশতী কবরীর ফেসবুক ফ্যান পেজ থেকে লাইভে এসে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘মায়ের অক্সিজেন লেভেল ওঠানামা করছে।
এটা ভালো লক্ষণ নয়, তিনি প্রাণপণ লড়ছেন। আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ্ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরবেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে চিশতী সমগ্র দেশবাসী ও অভিনেত্রীর অনুরাগীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
গত ৫ এপ্রিল কবরীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এরপর ওইদিন রাতেই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয়। ৮ এপ্রিল দুপুরে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন অভিনেত্রী।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন কবরী। কাজ করেছেন ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘অধিকার’, ‘বেঈমান’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘সোনালী আকাশ’, ‘দীপ নেভে নাই’-এর মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমাতে। ২০০৬ সালে তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘আয়না’ মুক্তি পায়। ইদানীং তিনি দ্বিতীয় সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’নির্মাণের কাজ করছিলেন।