একাত্তর নিউজ প্রতিনিধি, ঢাকা : ঢাকার মতিঝিল এলাকায় অবস্থিত ছয়টি ক্লাবে ক্যাসিনো, জুয়ার আসর ও অশ্লীলতার নিয়ন্ত্রক ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। আটক করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে। এসব অভিযানে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকও জব্দ করা হয়।
‘দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারাদেশে শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার বলেছেন, ‘অনিয়মকারী যে দলেরই হোক তাকে পাকড়াও করা হবে। এখনও সময় আছে, এসবের সঙ্গে জড়িতরা সাবধান হয়ে যান।’ ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে র্যাবের অভিযান শুরু হয়েছে। আটক করা হচ্ছে সরকারদলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের। ‘অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে’ বলেও সতর্ক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এছাড়া ‘ক্যাসিনো মামলায় যুবলীগের যাকেই গ্রেফতার করা হবে তাকেই বহিষ্কার করব’- বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। ফলে বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সরকারদলীয় সংগঠনের এক সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ব্যক্তিরা এখন আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রাজধানীর ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের বড় একটি অংশই মূলত চলে দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ছত্রচ্ছায়ায়। বর্তমানে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন। যেকোনো সময় তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে।