যশোর শহরতলীর ধর্মতলা এলাকার শিশু কথা আফিরন তৃষা হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক আসামির জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শক্তি খোলাডাঙা এলাকার কামরুল গাজীর ছেলে।
যশোর শহরতলী ধর্মতলা এলাকার ইজিবাইকচালক তরিকুল ইসলামের মেয়ে শিশু তৃষা ৩ মার্চ বিকেলে আরবি পড়ে বাসায় ফেরে। এরপর খেলতে বের হয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় সে। চব্বিশ ঘণ্টা পর বাড়ির পেছনের ডোবায় তার বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়। তৃষাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে উঠে আসে। ঘটনার পর স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
এ ব্যাপারে নিহতের পিতা তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় স্থানীয় আউয়ালের ছেলে সাইফুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। ৬ মার্চ ঘটনায় জড়িত মাদক ব্যবসায়ী শামীম (৩০) ক্রসফায়ারে নিহত হন। এ মামলার তদন্ত শেষে হত্যা ও ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকায় ওই শক্তি ও একই এলাকার মৃত আব্দুল আওয়ালের ছেলে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত থাকলেও নিহত হওয়ায় শামীমকে এ মামলা থেকে অব্যহতির আবেদন করা হয়।