নদী খননের মাটি হরিলুট তাদের নজর এখন নদীর চরে –বাঘারপাড়া-বসুন্দিয়ায় বন্ধ হচ্ছে না ভূমি দস্যুতা
সাঈদ ইবনে হানিফ( বাঘারপাড়া) যশোর ঃযশোরের বাঘারপাড়ায় বেড়েই চলেছে মাটিকাটা সিন্ডিকেটের কার্যক্রম। এতদিন তাদের কর্মকান্ড ছিল বিল বাওড়ের আর এখন তাদের নজর নদীর চরের দিকে। অভিযোগ রয়েছে তারা বিভিন্ন সময়ে জমির মালিকদের মোটা অংকের অর্থের লোভ দেখিয়ে ম্যানেজ করে হেক্সমেশিনের মাধ্যমে জমির গভীর থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন ইটভাটা সহ অন্যান্য স্থানে বিক্রি করে থাকে। মাটিকাটা চক্রের এই কর্মকাণ্ডে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে গ্রামের রাস্তাঘাট তেমনি উর্বর মাটি কেটে নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি,আর নিচু হচ্ছে এলাকা – পাশাপাশি পরিবেশগত ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে বসবাস কারী জনসাধারণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক বছর যাবৎ উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের মনোহরগঞ্জ, জামালপুর, রাধানগর, বাসুয়াড়ি,বাগডাঙ্গা, ঘোষনগর এলাকা জুড়ে মাটিকাটা সিন্ডিকেটের কার্যক্রম বেড়েই চলেছে। এদের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েকদিন যাবত ওই চক্রটি জামালপুর ঘোষনগর বাগডাঙ্গা এলাকার ভৈরব নদীর পাড়ের মাটি মালিকানা সূত্রে, ট্রাক যোগে রাতদিন পরিবহন করা হচ্ছে। স্বচেতন মহলের অভিযোগ তারা যে ভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে তাতে নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটারের মধ্যে ভৈরব নদীর দু’পাড়ের জমির বেশিরভাগ মালিকানা সূত্রে এই মাটি কাটা সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করে আর ও বলেন, এধরনের মাটি কাটা কর্মকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত – তারা এক ধরনের ভূমি দস্যু। প্রতিনিয়ত তাঁরা মানুষের ফসলি জমি নষ্ট করছে, রাস্তাঘাট ধ্বংস করছে, গ্রামীন পরিবেশের ক্ষতি করছে, এতদিন তাদের কার্যক্রম ছিল বিল বাওড়ে- এখন আবার তারা নদীর চরে হামলা করেছে।
উল্লেখ্য গতকয়েকদি আগে বসুন্দিয়ার এক যুবলীগ নেতা রাতের অন্ধকারে মাটি উত্তোলনের সময় স্থানীয় পুলিশ ক্যম্পের হস্তক্ষেপে সেটা বন্ধ হয়ে যায়।
এই মাটিকাটা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ভূমি আইনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন মহল।