এএকাত্তর নিউজ ডেস্ক :
পরীমণিকাণ্ডে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে ডিবি থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। এর আগে, শনিবার দুপুরে সিআইডির এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, পরীমণিকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদি উক্ত ঘটনায় কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সে আইনের আওতায় আসবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রত্যাহারের পাশাপাশি তার থেকে সরকারি ফোনও জমা নেয়া হয়েছে।
এর আগে, পহেলা আগস্ট রাত আটটার দিকে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে নিয়ে নিজ বাসায় অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েন। ওই দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রাত আটটার দিকে নিজের হ্যারিয়ার গাড়িতে করে রাজারবাগের মধুমতির ফ্ল্যাটে যান। ওই ভবনের ১০ তলায় সাকলায়েনের সরকারি বাসভবন। সাকলায়েন নিজে নেমে এসে রিসিভ করেন পরীমনিকে। এর কিছুক্ষণ পর সাকলায়েনের বাসায় প্রবেশ করেন পরীমনির খালাতো বোন ও তার স্বামী। পরে রাত দুইটার দিকে পরীমনিসহ তিনজনই বের হয়ে যান বাসা থেকে।
গেল ১৩ জুন উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমনি। পরদিন উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ৩০তম বিসিএসের কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগে কর্মরত। ওই সময় পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় গোয়েন্দা কার্যালয়ে। তখনই পরীর সঙ্গে প্রথম পরিচয় সাকলায়েনের। এরপর সম্পর্কের গভীরতা।