যশোর অফিস : যশোর শহরের নীলগঞ্জে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন এক দন্ত চিকিৎসক।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বিকেলে নীলগঞ্জ সাহাপাড়া এলাকায় ।
স্থানীয় লোকজন জানান, সোমবার বিকেলে নীলগঞ্জ মোড়ের দন্তসেবা ক্লিনিকের চিকিৎসক হারুন অর রশিদ সাহাপাড়ায় ভাড়া বাসায় জনৈক মনিরা খাতুন নামে এক মহিলার সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়।
এসময় খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ওই বাসা ঘেরাও করে চিকিৎসক হারুন ও মনিরা খাতুনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে গণধোলাই দেয়।
চিকিৎসক হারুন যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া গ্রামের সাদেক হোসেনের ছেলে এবং মনিরা খাতুন যশোর সদরের মন্ডলগাতি গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।
দীর্ঘ দেড় বছর যাবৎ তারা ভূয়া স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলো বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।
পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে এ যাত্রা থেকে রেহাই পায় চিকিৎসক হারুন ও মনিরা খাতুন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এব্যাপারে দন্তসেবা ক্লিনিকের চিকিৎসক হারুন অর রশিদ জানান, ব্যাচেলর লোক বলে অনেকেই ঘর ভাড়া দিতে চায়না তাই দুর সম্পর্কের নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঘর নিয়েছি এটা দোষের কি এছাড়া স্থানীয় একটি মহল আমাকে ষড়যন্ত্রের শিকার বানিয়েছেন ।
চিকিৎসক হারুন অর রশিদের স্ত্রী পরিচয়দানকারি নারী জানান, হারুন আমার পুর্ব পরিচিত তাই মাঝে মাঝে এসে তার কাপড় পরিস্কার ও ঘর গুছিয়ে দিতাম ।
এবিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার রায় জানান, ঘটনাটি আমার জানা নাই তবে এ ধরনের অভিযোগ খুবই জগন্য , বিষয়টি আমি অবশ্যই খোজখবর নেব এবং সে অপরাধি হলে শাস্তি পেতে হবে।