যশোর সদরের কুয়াদা বাজারে অবাধে চলছে, আড্ডা পুলিশ,সেনাবাহিনি দেখলে হাওয়া 71news24

http://www.71news24.com/2019/03/18/1128

নাসির উদ্দিন নয়ন কুয়াদা(যশোর)প্রতিনিধি :
যশোর সদরের কুয়াদা বাজারে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারী মানুষের দৃষ্টি পুলিশ আর সেনাবাহিনির দিকে। তাদের উপস্থিতি টের পেলেই পালাচ্ছে তারা। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও জনসমাগম বন্ধে সরকারের কঠোর ভূমিকার পরও মানুষের সচেতনতার অভাবে তা কার্যকর হচ্ছে না। অবাধে চলছে, রাস্তায় আড্ডাবাজি ও চায়ের দোকানে,থাকছে সব বয়সের মানুষের আড্ডা।চায়ের দোকানের সামনের দর্জা বন্দো করে পর্দা লাগিয় দেখলে মনেহবে রমজান মাস শুরু।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় শনিবার থেকে সরকার কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী রাস্তায় রিকশা, ইজিবাইক এবং মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবে না। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। রাস্তায় লোকজন অবাধে চলাচল চলছে। ২/৩ জন যাত্রী নিয়ে চলছে মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান,
ইজিবাইক।
এক সাথে একাধিক লোক দাঁড়িয়ে গল্প, আড্ডাবাজি চলছে সমানতালে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা হচ্ছে না কাঁচাবাজারে। পাড়া-মহল্লায় গড়ে ওঠা দোকান গুলোতে আগের মতোই ভিড় হচ্ছে। মেইন রোডের বাইরে সব ধরনের দোকানে বেচাকেনা চলছে। মানুষ দূরত্ব রক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা না মেনে পুলিশ ও সেনাবাহিনিকে পাহারা দিচ্ছে। কখন কোন রাস্তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনি প্রবেশ করে সেদিকেই তাদের দৃষ্টি। তাদের উপস্থিতি টের পেলেই রাস্তা বাজার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণের জন্যে করোনার ভয়াবহতা ও সরকারি নির্দেশনার আলামত দেখা যাচ্ছে। পরক্ষণে যথা পূর্বং তথা পরং অবস্থা।
অবশ্য, করোনা ভাইরাসরোধে সরকারি নির্দেশনা কার্যকরে পুলিশ ও সেনাবাহিনি কঠোর ভূমিকা পালন, তারা একেকটি এলাকায় বহুবার টহল দিচ্ছে এবং জরিমানা ও লাঠি চার্জ করছে। জনবল সংকটের কারণে তাদের পক্ষে এক এলাকায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সুযোগটিই গ্রহণ করছে অসচেতন মানুষ গুলো।

Please follow and like us: