নাজিম,বসুন্দিয়া,যশোর :
বর্তমান সময়ে মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নির্মান হলেও জয়ান্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় দুঃখ ঘনীভুত হয়েই চলেছে। জয়ান্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৩ বছরেও নির্মান হয়নি শহীদ্দের স্বরনে কোনো শহীদ মিনার। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও জয়ান্তা গ্রামের চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনোটিতে শহীদ মিনার নেই।ডিজিটাল জেলা যশোর সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়নরে বৃহত্তম গ্রাম জয়ান্তা।১৯৮৬ সালে স্থাপিত স্কুলটি ২০০১ সালে জুনিয়র থেকে সিনিয়রের মর্যাদা পেলেও এখানে তৈরি হয়নি ভাষা শহীদ স্বরনে কোনো শহীদ মিনার।
ফেব্রয়ারী মাস এলেই প্রত্যান্ত এই গ্রামের ভংগুর যোগাযোগ ব্যাবস্থা মাড়িয়ে স্কুলের বাচচাদের শহীদ্দের শ্রদ্ধা জানাতে ৩ কিলোমিটার হেটে বসুন্দিয়া মোড়ে আস্তে হয়।স্থানীয় মাননীয় এমপি সাহেব একটি শহীদ মিনার নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিলেও সে প্রতিশ্রুতি আলোর মুখ দেখেনি।এ বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করা হলেও পুরন হয়নি এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।শহীদ মিনার নির্মানে বর্তমান বসুন্দিয়া ইউনিয়নের শিক্ষাবান্ধব চেয়ারম্যান জনাব রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেলের দৃষ্টি আকর্ষন করলে উনিও আশার বানী শুনিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বর্তমান সরকার যদি এখনও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ স্বরনে শহীদ মিনার নির্মান করতে না পারে তবে জাতী কাদের কাছে এ আশা করবে।গৌরবময় বায়ান্ন আমাদের অহংকার।বায়ান্ন ছিল তাই ৭১ এসেছিল। ৭১ এসেছিল বলেই আমরা স্বাধীন।শোসক পাকিস্তানের বিপক্ষে রক্তক্ষয়ী ৯মাসের যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছিলাম।পেয়েছিলাম একটি স্বধীন পতাকা।বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে বিজাতীয় সংস্কৃতির আধিক্যে মানুষ দ্রুতই ভুলে যাচ্ছে তার নিজস্ব কালচার।
এলাকার সাধারন মানুষ চাই অতি দ্রুত জয়ান্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনার নির্মান করে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের অহংকার আমাদের গৌরব আমাদের ভাষা আন্দোলনের সকল স্মৃতি আম্লান করে রাখা হোক। এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি,চেয়ারম্যান সহ সকল প্রশাসনিক ব্যাক্তিদের প্রতি বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।আমার চাই ২০২০ সালে এই স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা যেন তাদের নিজেদের স্কুলের শহীদ মিনারের ফুল দিতে পারে।