আবু তাহের, একাত্তর প্রতিনিধি:
যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়ার জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০০ বছর পুর্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শতবর্ষ উদযাপণের লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হলো ২দিনব্যাপী বর্ণিল অনুষ্ঠান।
১৯১৯ সালের ১ জানুয়ারি স্বর্গীয় বাবু সুরেশ চন্দ্র বসু’র নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় বসুন্দিয়ার অন্যতম সেরা বিদ্যাপিঠ জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের সূচনালগ্ন থেকে অনু-অনু করে গড়ে ওঠা আজকের সফল ও সনামধণ্য শিক্ষা-সুফলা এটি একটি গর্বিত বিদ্যাপিঠ। বিদ্যালয়ে রয়েছে পর্যাপ্ত ইমারত, রয়েছে উপচেপড়া শিক্ষার্থী, পরিচালিত হচ্ছে দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা।
জঙ্গলবাধাল গ্রামের ছায়া-সমতলে অবস্থিত এ বিদ্যালয়ের পরিচিতি দেশের সর্বত্র। সময়ের পরিক্রমায় ৪দিন পর ৩১ ডিসেম্বর পূর্ণ হতে চলেছে বিদ্যালয়ের ১০০টি বছর। শতবর্ষের স্পর্শে শিহরিত বিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সে স্পর্শের পুলকিত দোলায় দোলায়িত এখন সমগ্র বসুন্দিয়া অঞ্চল। যার প্রতিফলণ শতবর্ষ উদযাপণ অনুষ্ঠানে প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের আনন্দময় পদচারনা ও পরস্পরের মিলনমেলা। প্রাই ১৫শত প্রাক্তণ শিক্ষার্থীর স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে ২দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠান হয়েছে বর্ণিল। বৃদ্ধ, মধ্যবয়সী, যুবক, তরুণ এবং তরুণীদের মিলনমেলাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে আনুষ্ঠানিকতার ফ্রেমে।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর-৪ নির্বাচনী এলাকার সাংসদ বাবু রনজিৎ কুমার রায়, বিশেষ অতিথি ছিলে বাবু মাধব চন্দ্র রুদ্র, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর, নিভা রানী পাঠক, উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চল, এম, কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, যশোর, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল, চেয়ারম্যান, ১৫নং বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শতবর্ষ উদযাপণ পর্ষদের সভাপতি, জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম।
শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের সাাধারন সম্পাদক আব্দদুল করিম বলেন অনেক প্রতিকুুলের মধ্যে দিয়ে হচ্চ্ছ এই অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রিপোর্টিং, গেঞ্জি, স্মরণিকা ও ক্যাপ বিতরণ সম্পন্ন হয়। অতপর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াৎ ও গীতা পাঠ শেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধণ করা হয়। বেলা ১২টার সময় ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ভিজে বর্ণাঢ্য র্যালী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বসুন্দিয়া মোড় প্রদক্ষিণ করে। দুপুরে উপস্থিত সকল নিবন্ধন প্রাপ্তেেদর মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। স্মৃতিচারণ ও আলোচনা পর্বের পর সাধ্যকালীণ আয়োজনে বিভিন্ন শিল্পীদের উপস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিকর আয়েজন করা হয়।