নাসির উদ্দিন নয়ন (কুয়াদা) যশোর : যশোর মনিরামপুরের ব্রাক্ষণডাঙ্গা গ্রামের অকিল বিশ্বাসের ছেলে (রাজ মিস্ত্রী) মাহাবুর (২২) বিদ্যুৎস্পৃট হয়ে মারা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনিরাম পুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ব্রাক্ষণডাঙ্গা গ্রামের অকিল বিশ্বাসের ছেলে মাহাবুর একই গ্রামের তোয়েব মোড়লের ছেলে বহুল আলোচিত রাজ মিস্ত্রী ইসমাঈল (২৫) এর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছিলো।
এরই জের হিসাবে গত তিন দিন আগে মাহাবুর বাড়ি থেকে বের হয়ে আলোচিত রাজ মিস্ত্রী ইসমাঈলের সাথে রাজারহাট খানকায়ে ওয়াসিয়া মাদ্রাসায় কাজ করার জন্য যায়। তখন কাজ করার সময় মাদ্রাসার ছাদে বিদ্যুৎ লাইনের তারের সাথে জড়িয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়। তখন জরুরীভাবে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সোমবার ( ৩০ মার্চ -২০ ইং) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে মারা যান। মঙ্গলবার ( ৩১ মার্চ-২০) সকাল ১০ টার দিকে লাশ তার নিজ বাড়ি যশোরের ব্রাক্ষণডাঙ্গা গ্রামে এসে পৌঁছায়। তারপর মৃতের জানাযা শেষে পরিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ দিকে তার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্বব্যাপী এখন মরনব্যাধী করোনা ভাইরাসের জন্য মানুষ বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না। তারই জের হিসাবে বাংলাদেশে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি – বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছেন। এই আদেশকে উপেক্ষা করে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে আলোচিত ইসমাঈল গ্রামের সহজ সরল নিরীহ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে। এরই জের হিসাবে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলো। এ দায় কার? এ বিষয়ে রাজ মিস্ত্রী ইসমাঈলের ব্যবহৃত ০১৯৫৫-৭০৫৯১৭ নম্বর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ফোনটি বন্ধ করে রাখে। এ বিষয়ে এলাকার সচেতনমহল দ্রত প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।