স্টাফ রিপোর্টার,একাত্তর নিউজঃ
এ জীবন পূণ্য করো দহন দানে, আগুণের পরশ মনি ছোঁয়াও প্রাণে’ টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের শিল্পীদের খালি গলায় শোক গীতি পরিবেশকে আরে বেশি আবেগী করে তোলে। অশ্রুস্বজল চোখের মতো শিল্পীদের কণ্ঠেও বেদনার সুর প্লাবিত করে উপস্থিত সকলের চোখের কোণা। এমন গানে তিনি জীবনে বহুবার নেতৃত্বে দিয়েছেন। আর আজ তিনিই এই গানের উপজীব্য।
সময় তখন পেরিয়ে গেছে বেলা সাড়ে এগারটার কাটা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এগারটার আগেই শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু বিদায়ী অনুষ্ঠান সর্বস্তরের মানুষের আগমনে ঠিক থাকেনি পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি।
সকাল দশটায় তার মরদেহ টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে আনা হয় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। গণমানুষের শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় বিদায় নিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোর জেলার সভাপতি অধ্যাপক সুকুমার দাস।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী. গ্রামের কাগজ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, সরকারি কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক, সাামাজিক, রাজনৈতিক পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের হৃদয়ের অতল শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোর জেলার সভাপতি অধ্যাপক সুকুমার দাস।
পরে নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোর জেলার সভাপতি অধ্যাপক সুকুমার দাস বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। সপ্তাহ খানেক আগে ব্লক ধরা পড়ায় তার হার্টে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে বাসায় ছিলেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়িতে পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।